নাজিরপুর প্রতিনিধি: পিরোজপুরের নাজিরপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণ, পদোন্নতির কাঠামোর সংস্কার ও প্রধান শিক্ষকদের শতভাগ পদোন্নতি এবং শিক্ষকদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহার করায় অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা।
রোববার (৯ নভেম্বর) নাজিরপুরের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে গিয়ে দেখা যায় সকাল থেকেই ক্লাস কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। কিছু শিশু মাঠে খেলছে, কেউ আবার বেঞ্চে বসে সময় কাটাচ্ছে। অভিভাবকরা জানান, “কর্মবিরতি দীর্ঘায়িত হলে শিশুদের পড়াশোনায় বড় ধরনের ক্ষতি হবে। আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারের মুখে পড়তে পারে।” গত ৮ নভেম্বর শহিদ মিনারে শিক্ষকরা একতা প্রদর্শন করেন। কিন্তু সেই শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষকরা।

শিক্ষকসংঘের পক্ষ থেকে শিক্ষকদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ হস্তক্ষেপ করেছে। তাই অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে। নাজিরপুর সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আরমান আরা মলি জানান, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে আমাদের দাবি জানিয়েও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা পাইনি। সম্প্রতি শহিদ মিনারে শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশের জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহারের পর আমরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছি।
আমাদের আন্দোলনের লক্ষ্য শুধুই ন্যায্যতা এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা।” নাজিরপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, “শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ক্ষতি আমরা চাই না। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে আমাদের দাবি উপেক্ষা করা হয়েছে। আমরা আশা করি সরকার আমাদের দাবির প্রতি মনোযোগ দেবে এবং দ্রুত সমাধান করবে।
নাজিরপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি এ,কে,এম. ফয়সল আলম বলেন,“আমরা ক্লাসে ফিরতে চাই। কিন্তু তার আগে চাই আমাদের প্রাপ্য সম্মান ও ন্যায্য গ্রেড। সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণ, পদোন্নতির কাঠামোর সংস্কার এবং প্রধান শিক্ষকদের শতভাগ পদোন্নতি আমাদের ন্যায্য দাবি।
ন্যায্য দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। আমরা চাই আমাদের পরিশ্রমের মূল্য যথাযথভাবে স্বীকৃত হোক।”
