More

    মিরাজ এনে দিলেন সপ্তম উইকেট

    অবশ্যই পরুন

    প্রথম টেস্টের সংক্ষিপ্ত স্কোর: আয়ারল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ৭৩ ওভারে ২২২/৭ (জর্ডান ৩*, ম্যাকার্থি ০*; বালবার্নি ০, স্টার্লিং ৬০, টেক্টর ১, কারমাইকেল ৫৯, ক্যাম্ফার ৪৪, টাকার ৪১, ম্যাকব্রিন ৫)

    তৃতীয় সেশনে আইরিশদের ভালোভাবেই চেপে ধরেছে বাংলাদেশ। হাসান মুরাদ দুই সেট ব্যাটারকে ফেরানোর পর সপ্তম উইকেট পড়তেও সময় লাগেনি। ২২২ রানে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে স্টাম্পড হয়েছেন অ্যান্ডি ম্যাকব্রিন (৫)। এটি ছিল মিরাজের তৃতীয় শিকার।

    দুই সেট ব্যাটারকে ফেরালেন অভিষিক্ত মুরাদ

    ৪ উইকেটে ১৮৪ রান নিয়ে তৃতীয় সেশন শুরু করেছিল আয়ারল্যান্ড। লরকান টাকার ও কার্টিস ক্যাম্ফার জুটি গড়ে দলের স্কোর দুইশ পার করেছিলেন। ৫৩ রানের এই জুটিকে আর বেশি বড় হতে দেননি অভিষিক্ত স্পিনার হাসান মুরাদ। ৬৩.৩ ওভারে ক্যাম্ফারকে ৪৪ রানে শান্তর ক্যাচ বানিয়েছেন তিনি। তিন ওভার পর আবারও আঘাত হানেন। এবার আরেক সেট ব্যাটার লরকান টাকারকে ৪১ রানে স্টাম্পড করিয়েছেন। তাতে মুরাদের ঘূর্ণিতে দুই সেট ব্যাটারকে হারিয়েছে আইরিশ দল। সফরকারীরা তাদের ষষ্ঠ উইকেট হারায় ২১৯ রানে।

    দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশের প্রাপ্তি ৩ উইকেট

    প্রথম সেশনে কঠিন সময় পার করলেও দ্বিতীয় সেশনে ৩ উইকেট পেয়েছে বাংলাদেশ। ভেঙেছে দুটি বড় পার্টনারশিপ।

    দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই আঘাত হানে বাংলাদেশ। প্রথম দুই ওভারে তুলে নেয় দুই গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। ৬০ রানে সেট হয়ে যাওয়া পল স্টার্লিংকে আউট করেন নাহিদ। এরপর নতুন ব্যাটার হ্যারি টেক্টরকেও সাজঘরে পাঠান মিরাজ। তবে দ্রুত দুই উইকেট পড়লেও অভিষিক্ত কেড কারমাইকেল দলকে চাপে পড়তে দেননি। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে তুলে নেন নিজের প্রথম টেস্ট ফিফটি। মাঝের দিকে ক্যাম্ফারের সঙ্গে ৫৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটিও গড়েন তিনি। কিন্তু ৫৯ রানে এসে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে মিরাজের বলে কাটা পড়েন তিনি।

    প্রথম সেশনের মতো এই সেশনেও বাজে ফিল্ডিংয়ের নজির রেখেছে বাংলাদেশ। মুরাদের বোলিংয়ে সহজ একটি ক্যাচ ফেলেন শান্ত। তাতে ১১ রানে জীবন পান টাকার। এরপর টাকার ও ক্যাম্ফার ৩৪ রানের জুটি গড়ে দ্বিতীয় সেশন নির্বিঘ্নে শেষ করেছেন। চায়ের বিরতিতে যাওয়ার আগে আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ৫৬ ওভারে প্রথম ইনিংসে ১৮৪ রান। ক্যাম্ফার ৩৫ রানে ব্যাট করছেন, টাকার অপরাজিত ২২ রানে।

    সব মিলে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ চারটি ক্যাচ হাতছাড়া করেছে। এই সেশনে ৩০ ওভারের খেলা হয়েছে। আয়ারল্যান্ড ৩ উইকেট হারিয়ে যোগ করেছেন ৯০ রান।

    কারমাইকেলের প্রতিরোধ ভাঙলেন মিরাজ

    লাঞ্চ থেকে ফিরেই টানা দুই ওভারে উইকেট তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। তার পর অবশ্য প্রতিরোধ গড়ে ইনিংস সামলাতে থাকেন কেড কারমাইকেল ও কার্টিস ক্যাম্ফার। চতুর্থ উইকেটে ৫৩ রানের জুটি গড়েন তারা। যার মূল কারিগর ছিলেন অভিষিক্ত কারমাইকেল। শুরুর টেস্টেই তুলে নিয়েছেন ফিফটি। তাকে ৫৯ রানে থামিয়ে প্রতিরোধ ভেঙেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। আয়ারল্যান্ড চতুর্থ উইকেট হারায় ১৫০ রানে।

    মিরাজের বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়েছিলেন কারমাইকেল। বল ব্যাটের কানায় লেগে বাহুতে স্পর্শ করে বাতাসে উঠলে দুর্দান্ত ক্যাচে সেটা লুফে নেন শান্ত। কিন্তু অনফিল্ড আম্পায়ার বাংলাদেশের আবেদনে মোটেও সাড়া দেননি। রিভিউর পরই সাফল্য পায় স্বাগতিক দল। কারমাইকেলের ১২৯ বলের ইনিংসে ছিল ৭টি চার।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    নড়েচড়ে বসছে বিসিসি প্রশাসন

    কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাজনীতি বিমুখ রাখতে নড়েচড়ে বসেছে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি) প্রশাসন। রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ, ব্যানার, ফেস্টুন টাঙানো এমনকি বিশেষ...