স্টাফ রিপোর্টার: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ইসলামিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বাবু সিকদার (৩২) নামে এক ব্যক্তি। অসুস্থ হওয়ার পর চিকিৎসার অনিয়ম ও ভুল ওষুধ প্রয়োগের অভিযোগ তুলেছেন তিনি ও তার পরিবার।
জানা গেছে, বাবু সিকদার মঠবাড়িয়া সদর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের আঙুলকাটা গ্রামের মৃত তোফাজ্জল হোসেন সিকদারের ছেলে। গত ৮ নভেম্বর শরীরের প্রধান শিরায় তীব্র ব্যথা অনুভব করলে তিনি মঠবাড়িয়া সরকারি হাসপাতালের পেছনে অবস্থিত ইসলামিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. এম. এ. হোসেন বিভিন্ন ধরনের ৮-৯টি পরীক্ষা করিয়ে রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রেসক্রিপশন দেন।
বাবু সিকদারের অভিযোগ, চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধ সেবনের পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। পরে ১০ নভেম্বর (সোমবার) দিবাগত রাতে তিনি মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। বাবুর মা বলেন, “ছেলে ওষুধ খাওয়ার পর থেকেই বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। রাতে একদম সহ্য করতে পারছিল না।”
প্রতিবেশীরাও জানান, “বাবু ওষুধ খাওয়ার পর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে আমরা পরিবারের কান্নার শব্দ শুনে দৌড়ে যাই।” এ বিষয়ে চিকিৎসক ডা. এম. এ. হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে ইসলামিয়া জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক রেজা বলেন, “রোগীর পরবর্তী চিকিৎসার জন্য যা যা করা প্রয়োজন, আমি তা করতে প্রস্তুত।”
তিনি আরও কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। স্থানীয়ভাবে এ ঘটনায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। পরিবার ও এলাকাবাসী বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
