ওবায়দুর রহমান অভি, পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর দুমকীতে কৃষকের ২টি গাভী লুটের অভিযোগ ‘মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। শনিবার রাতে দুমকী প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মুরাদিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আফরোজা রহমান তাঁর পরিবারের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে বলেন, প্রতারণার মামলার জেরে পাওনা টাকা আদায়ের প্রসঙ্গকে অন্যখাতে নিতে তাঁর দেবর ও স্থানীয় জামায়াত নেতা আবদুল জলিল প্যাদাকে ইচ্ছাকৃতভাবে জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।
তিনি জানান, একই এলাকার আব্দুল বারেক মজুমদারের ছেলে আমিনুল ইসলাম মজুমদার ইতালি পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে তাঁর স্বামীর কাছ থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রায় ৯ লাখ টাকা নেন। ১৩ লাখ টাকার চুক্তিতে বিদেশে নেওয়ার কথা থাকলেও ভুয়া ওয়ার্ক পারমিট দেওয়ায় প্রতারণার বিষয়টি স্পষ্ট হয়। পরে আদালত আমিনুলকে কারাগারে পাঠান; জামিনে বের হওয়ার পরও সে টাকা ফেরত দেওয়ার অঙ্গীকার ভঙ্গ করে পলাতক রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আফরোজা রহমান দাবি করেন, শুধু তাঁদের পরিবার নয়—আরও ১০–১২ জনের কাছ থেকে মোট প্রায় ৫৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই প্রতারক চক্র। পাওনা টাকা ফেরতের দাবি নিয়ে তাঁরা বৃহস্পতিবার বারেক মজুমদারের বাড়িতে গেলে তিনি নিজেই বলেন, “আমিনুলের গরু আছে, তা নিয়ে যাও।” তাঁর নির্দেশ অনুযায়ীই গরু দুটি আনা হলেও এখন উল্টো লুট করে গরু নেয়ার মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার সময় আমার দেবর আবদুল জলিল প্যাদা সেখানে ছিলেন না। কিন্তু একটি মহল তাঁকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে জড়িয়ে সামাজিকভাবে হেয় করার অপচেষ্টা করছে।’
শুক্রবার স্থানীয় পঞ্চায়েত বাজারে সালিশ বসে। সেখানে বারেক মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী আমিনুলের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে জানান।
আফরোজা রহমান বলেন, “ঘটনায় কোনো ধরনের লুট বা জোরপূর্বক গরু নেওয়ার ঘটনা নেই—এমন সংবাদ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ার বিষয়টিকে ঘুরিয়ে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করছে একটি মহল”
এসময় তিনি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট প্রতারক চক্রের মাস্টারমাইন্ড আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।#
