More

    দেশের প্রথম নারী উপজেলা চেয়ারম্যান খালেদা ওহাব আর নেই

    অবশ্যই পরুন

    রাহাদ সুমন,বিশেষ প্রতিনিধি: দেশের প্রথম নারী উপজেলা চেয়ারম্যান ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কমিটির বাবুগঞ্জ উপজেলা সভাপতি খালেদা ওহাব (৫৭) আর নেই। তিনি স্ট্রোকজনিত কারণে বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) ভোররাত ৪টার দিকে ঢাকার বনশ্রী এলাকার ফরাজি জেনারেল হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। (ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

    তিনি বাবুগঞ্জ উপজেলার কৃষি বিপ্লবের রূপকার, প্রথম উপজেলা চেয়ারম্যান ও মুক্তিযুদ্ধকালীন বেইজ কমান্ডার প্রয়াত আব্দুল ওহাব খানের সহধর্মিণী। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) খালেদা ওহাব পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপের (PFG) কো-অর্ডিনেটর হিসেবে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে শান্তি সহায়ক সম্মেলনে যোগ দিতে ঢাকায় যান। সম্মেলন শেষে তিনি রামপুরা এলাকায় তার ছোটবোনের বাসায় বেড়াতে গেলে বুধবার (২৬ নভেম্বর) হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন।

    এসময় তাকে নিকটস্থ ফরাজি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ভোররাত ৪টার দিকে সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। চিকিৎসকরা জানান, খালেদা ওহাব স্ট্রোকজনিত কারণে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে মারা যান। তিনি উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস রোগে ভুগছিলেন। বর্ণাঢ্য এক জীবনের অধিকারিণী খালেদা ওহাব। ১৯৮৯ সালে সন্ত্রাসীদের গুলিতে তার স্বামী উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওহাব খানের নিহত হওয়ার পরে বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম নারী উপজেলা চেয়ারম্যান।

    এছাড়াও তিনি একাধিকবার বাবুগঞ্জ উপজেলা বিআরডিবি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের সাথে আমৃত্যু যুক্ত ছিলেন। তিনি সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কমিটির বাবুগঞ্জ উপজেলা সভাপতি ছাড়াও পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপের (PFG) কো-অর্ডিনেটর এবং দি হাঙ্গার প্রজেক্টের বিকশিত নারী নেটওয়ার্কের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন। বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান ফারজানা বিনতে ওহাব মরহুমার মেয়ে।

    তাঁর মৃত্যুর খবরে উপজেলার রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বাবুগঞ্জ উপজেলার সুজন কমিটি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন সংগঠন, প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তি শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন। বাবুগঞ্জে নারী অগ্রযাত্রা এবং ক্ষমতায়নে তিনি ছিলেন এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। উপজেলা মহিলা সংস্থার একাধিকবার নির্বাচিত সভানেত্রী হিসেবে তিনি নারীমুক্তি আন্দোলন এবং নারীর ক্ষমতায়নে আমৃত্যু কাজ করে গেছেন।

    তাঁর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে বর্ণাঢ্য এক জীবনের একটি কর্মময় অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটলো। বৃহস্পতিবার বাদ জোহর বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ মাঠে প্রথম এবং বাদ আছর চাঁদপাশা হাইস্কুল ও কলেজ মাঠে তাঁর দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক পৈত্রিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে বলে পারিবার সূত্রে জানানো হয়েছে।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    ভোলায় এক ইলিশ মাছের দাম ৮ হাজার দুইশ

    মেঘনায় জেলের জেলে ধরা পরেছে রাজা ইলিশ। মাছটির ওজন ২ কেজি ৭৫ গ্রাম। ইলিশটি নিলামে ৮ হাজার দুইশত টাকায়...