More

    পিরোজপুরে শিক্ষার্থীদের টেনে-হিঁচড়ে পরীক্ষার হল থেকে বের করলো শিক্ষকরা

    অবশ্যই পরুন

    পিরোজপুরের কাউখালী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষার শুরুর ১৫ মিনিট আগে জোর করে শিক্ষার্থীদের টেনে-হিঁচড়ে হল থেকে বের করার অভিযোগ পাওয়া গেছে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পরীক্ষার্থীরা স্কুলের পরীক্ষার হলে উপস্থিত হলে ওই স্কুলের সহকারি শিক্ষকরা পরীক্ষা নেওয়া হবে না বলে স্কুল থেকে পরীক্ষার্থীদের টেনে-হিঁচড়ে বের করে দেয়।

    এ সময় কয়েকজন অভিভাবক বিষয়টি জানতে পারলে অভিভাবকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ খবর পেয়ে ১১ টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্বজল মোল্লা, সহকারী কমিশনার ভূমি সুদীপ্ত দেবনাথ, শিক্ষা কর্মকর্তা মুনিবুর রহমান বিদ্যালয়ে এসে অভিভাবকদের ডেকে শিক্ষার্থীদের পুনরায় স্কুলে প্রবেশ করিয়ে পরীক্ষা শুরু করেন। নাম প্রকাশে অনেক অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবকরা জানান, আমরা ছেলে সন্তানদের প্রাথমিক শিক্ষা নিয়ে জিম্মি রয়েছি।

    মডেল স্কুলের অধিকাংশ শিক্ষক সাবেক সরকারের আমলে প্রভাব খাটিয়ে এখানে আসেন। এদের কাছে প্রাইভেট না পড়লে ওই ছাত্রদের নানা হয়রানির শিকার হতে হয়। এরা যা বলেন সেটাই আইন হিসাবে মানতে হয়। আজকের শিক্ষার্থীদের সাথে যে আচরণ করা হয়েছে। এটা আমরা কখনো শিক্ষকদের নিকট থেকে আশা করি নাই। তারা অভিযোগ করে বলেন সহকারী শিক্ষক অসিম, লিটন কর, রাজলক্ষী কুন্ডু, ভারতীয় সাহা,স্বপন, মঞ্জুয়ারা সহ অন্যান্য সহকারী শিক্ষকরা পরীক্ষা দিতে আসা পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার হলে প্রবেশ করে টেনে-হিঁচড়ে বের করে দেন। এ সময় উপস্থিত অভিভাবকদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এতে ছোট-ছোট শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

    কাউখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্বজল মোল্লা জানান, পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে শিক্ষার্থীদের বের করে দেয়ার খবর পেয়ে আমি স্কুলে ছুটে গিয়েছি, শিক্ষকরা কাজটি ঠিক করে নাই, তাদের পরীক্ষা নেয়ার নির্দেশ দিলে তারা আবার পরীক্ষা নেয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুব্রত রায় জানান, সহকারী শিক্ষকরা তিন দফা দাবীর কমপ্লিটল শট ডাউন কর্মসূচি পালনের জন্য পরীক্ষার হল থেকে শিক্ষার্থীদের বের করে দিয়েছিল, পরবর্তীতে ইউএনও মহোদয় ও শিক্ষা অফিসারদের মধ্যস্থতায় উক্ত শিক্ষকরাই আবার পরীক্ষা নিয়েছে।

    শিক্ষার্থীর অভিভাবক মোঃ শহীদ চৌধুরী জানান, পরীক্ষার হল থেকে শিক্ষকরা জোর করে ছাত্রছাত্রীদের বের করে দিলে এতে শিক্ষার্থীরা ভয় পায়। উপজেলা শিক্ষা অফিসার মনিবুর রহমান জানান, খবর পেয়ে আমি বিদ্যালয় গিয়ে আমি, ইউএনও, সহকারী কমিশনার ভূমি নির্দেশ দিলে শিক্ষকরা ছাত্র-ছাত্রীদের ডেকে এনে তারাই আবার পরীক্ষা নেয়। বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি।

    জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ বখতিয়ার রহমান জানান- বিষয়টি তিনি জেনেছেন। এই ধরনের দুঃখজনক ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে আর না হয় এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    তিন ম্যাচে ৪ কোটি টাকা এনে দিলেন হামজারা

    ঘরের মাঠে বাংলাদেশের এশিয়ান কাপ ফুটবলের তিন ম্যাচে বেশ সাড়া পড়েছিল। সিঙ্গাপুর, হংকং ও ভারতের বিপক্ষে হামজা চৌধুরী-শমিত সোমদের...