বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় মোবাইল ফোন চুরির অপবাদ দিয়ে কোমরে রশি বেঁধে তিন কিশোরকে প্রকাশ্যে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা ও তার এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, বাকেরগঞ্জ পৌর এলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ইদ্রিস সরদার ও তার সহযোগী মিজান মাঝি।
এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তার করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েপড়া নির্যাতনের ভিডিও দেখে তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বাকেরগঞ্জ থানার ওসিকে নির্দেশ দেন জেলা পুলিশ সুপার। এরপর দুপুরে প্রধান অভিযুক্ত ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা ইদ্রিস সরদার ও তার সহযোগী মো. মিজানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের পর আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ ঘটনায় দায়ের হওয়ায় মামলায় আটক দুইজনসহ চারজনকে আসামি করা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার এক কিশোরের বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার ভরপাশা গ্রামের ইমরান সরদারের বাড়িতে কয়েক দিন আগে টিভি দেখতে যান একই এলাকার শুভ হাওলাদার (১৩), হাসান সিকদার (১৪) ও তারেক মীর (১৬)। তারা চলে আসার পর থেকে নিজের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি খুঁজে পাচ্ছিলেন না ইমরান সরদার।
ওই মোবাইল চুরির অপবাদ দেওয়া হয় তারেক, হাসান ও শুভকে। রোববার (১২ এপ্রিল) তিন কিশোরকে কোমরে রশি বেঁধে মারধর করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ইদ্রিসসহ কয়েকজন।
নির্যাতনের এই দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করে সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন এক ব্যক্তি। মুহূর্তে তা ভাইরাল হয়।