বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি : চাকুরীতে দশম গ্রেডে বেতন ভাতা প্রদান,উচ্চতর গ্রেডের জটিলতা অবসান, সহকারী শিক্ষকদের শতভাগ বিভাগীয় পদন্নোতির দাবিতে এবং ঢাকায় শাহবাগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের দাবি আদায়ের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে সারা দেশের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাকেরগঞ্জের প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে চলছে কর্মবিরতি।

গত ৮ নভেম্বর শনিবার সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা চাকুরীতে দশম গ্রেড সহ তিন দফা দাবি ঢাকার শহীদ মিনারের অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। এবং দাবি আদায় না হলে আগামী ১৫ই নভেম্বর থেকে শিক্ষকেরা কর্ম বিরতিতে যাবার ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু সেখানে আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে পরদিন ৯ নভেম্বর রবি বার থেকেই পূর্ণ কর্ম বিরতিতে গেলেন শিক্ষকেরা।
বাকেরগঞ্জে মোট ২৭৯ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন সহকারী শিক্ষকেরা সকাল ৯ টা থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন। উপজেলার অনেক প্রাথমিক বিদ্যালয় সরে জমিনে ঘুরে দেখা গেছে, লাইব্রেরিতে বসে পুর্ন কর্ম বিরতি পালন করছেন সহকারী শিক্ষকেরা। শিক্ষকদের কর্মবিরতি না জানার কারণে অনেক বিদ্যালয়েই শিক্ষার্থী এসেছিল।
এদের মধ্যে কেউ কেউ বাড়িতে চলে গেছে আবার অনেকে মাঠে খেলাধুলায় ব্যস্ত ছিল। তবে, বাকেরগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ রুহুল আমিন জানান, অধিদপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক বিদ্যালয়ের শ্রেনী কার্যক্রম খোলা রাখতে হবে। যেহেতু শিক্ষকদের আন্দোলনে বাকেরগঞ্জ উপজেলা দুজন শিক্ষক আহত হয়েছে তাই শিক্ষকদের মনে কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে,তার পরও ৮/১০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়া বাকী বিদ্যালয় গুলোতে শ্রেনী কার্যক্রম চালু ছিল।
যেহেতু শিক্ষাবর্ষ অনুযায়ী আগামী তিন সপ্তাহ পর ডিসেম্বর মাসের ১ তারিখ থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন বা বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এমন সময় আচমকা শিক্ষকেরা দাবি-দাওয়া নিয়ে মাঠে আন্দোলনে যাওয়ায় সন্তানদের লেখাপড়া নিয়ে চিন্তিত অভিভাবকেরা।
