বরিশালের আগৈলঝাড়ায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাতের হস্তক্ষেপে সাপ্তাহিক পানের হাট নিরাপদ স্থানে স্থানন্তর করা হয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যানের উদ্যোগে সাপ্তাহিক পানের হাট নিরাপদ স্থানে স্থানন্তর করায় সাধুবাদ জানিয়েছেন উপজেলার সকল পান চাষীরা। জানাগেছে, করোনার বিস্তার ঠেকাতে জনসমাগম রোধে সারাদেশের মত আগৈলঝাড়ায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকান ছাড়া সমস্ত দোকানপাট প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বন্ধ হয়ে যায় উপজেলার সমস্ত পানের আড়ৎ ও সাপ্তাহিক পানের হাট। যে কারনে বরজের পান নিয়ে বিপাকে পড়েন এ অ লের পান চাষীরা। এরই ফলশ্রুতিতে গোপনে উপজেলার ফুল্লশ্রী গ্রামে সাপ্তাহিক পানের হাট বসিয়ে লোক সমাগম করে পান বিক্রি করে আসছিল এলাকার পান চাষীরা। খবর পেয়ে শনিবার সকালে লোক পাঠিয়ে পানের হাট বন্ধের নির্দেশ দেয় প্রশাসন। এসময় এলাকার পান চাষীরা মুঠোফোনে বরজের পান নিয়ে তাদের দুর্ভোগের কথা উপজেলা চেয়ারম্যানকে জানায়। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান কৃষকের সার্বিক পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে জনসমাগমহীন ভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার শর্তে উপজেলা সদরের বিএইচপি একাডেমি বিদ্যালয়ের মাঠে সাপ্তাহিক পানের হাট স্থানন্তরের নির্দেশ দিলে খুশি হয়ে তাৎক্ষণিক উপজেলা চেয়ারম্যানকে সাধুবাদ জানায় এলাকার পান চাষীরা।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকদের জীবন-মান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। সে ক্ষেত্রে প্রাণঘাতী করোনার প্রভাবে যেন কৃষকের উৎপাদিত ফসলের ক্ষতি না হয় সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় এ অ লের পান চাষীদের কথা বিবেচনা করে জনসমাগমহীন ভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার শর্তে উপজেলা সদরের বিএইচপি একাডেমি বিদ্যালয়ের মাঠে সাপ্তাহিক পানের হাট বসানোর অনুমতি দেয়া হয়েছে।