More

    গৌরনদীতে ভোট বর্জনের ঘোষণা বিএনপির মেয়র প্রার্থীর

    অবশ্যই পরুন

    বরিশাল জেলার গৌরনদী পৌরসভার নির্বাচনে পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া ও ভোটারদের কাছ থেকে ব্যালট কেড়ে নিয়ে নৌকা প্রতীকে সিল দেয়া সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী জহির সাজ্জাদ হান্নান । পাশাপাশি তিনি পুননির্বাচনের দাবি করেছেন।

    শনিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুর ২ টার দিকে গৌরনদী উপজেলার দক্ষিন বিজয়পুর এলাকার নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির মেয়র প্রার্থী জহির সাজ্জাদ হান্নান ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।

    গৌরনদী পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী জহির সাজ্জাদ হান্নান বলেন, সকাল ৮ টায় ভোট গ্রহন শুরু হয়। এরপর ঘন্টা দেড়েক ভোটের পরিবেশ কিছুটা ভাল ছিল। সকাল সাড়ে ৯ টার পর আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা ভোট কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রন নিতে শুরু করেন। এরপর কয়েকটি কেন্দ্র থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার পোলিং এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়। এরপর একে একে গৌরনদী পৌরসভায় ৯টি ওয়ার্ডের ১৪টি কেন্দ্রের সবগুলো দখল করে নেন ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী হারিছুর রহমান হারিছের কর্মী-সমর্থকরা বুথের ভেতরে অবস্থান নিয়ে ভোটারদের নৌকা প্রতীকে সিল মারতে বাধ্য করছেন। এ কারনে ভোটররা তাদের পছন্দের মেয়র প্রাথীকে ভোট দিতে পারেননি।

    জহির সাজ্জাদ হান্নান অভিযোগ করেন, বেলা সাড়ে ১১ টার থেকে ৫ নম্বর কেন্দ্রে ব্যালটে নৌকা প্রতীকের সিল মারতে দেখে প্রতিবাদ করলে তাকে লাঞ্ছিত করেন ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। একই ভাবে বেলা ১২ টার দিকে ৬ নম্বর কেন্দ্রে সিল মারতে দেখে প্রতিবাদ করেন। এসময় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা তাকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে কেন্দ্র থেকে বের করে দেন।

    বিএনপি মেয়র প্রার্থী জহির সাজ্জাদ হান্নান বলেন, তাকে লাঞ্ছিত সহ কেন্দ্র দখল, ভোট কারচুপির বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অবহিত করা হলেও কোন ব্যাবস্থা নেয়া হয়নি। সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত সহকারী রিটার্নিং কর্মকতা ও গৌরনদী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে ৭ টি লিখিত অভিযোগ দেন। তবে তারা কোন ব্যবস্থাই গ্রহন করেননি। এ অবস্থায় ভোট ডাকাতির এ নির্বাচন বর্জন ছাড়া আর কোন পথ ছিল না। এ কারনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন তিনি। পাশাপাশি তিনি পুননির্বাচনের দাবি করেছেন।

    বিএনপি প্রার্থীর অভিযোগ প্রসঙ্গে পৌরসভা নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নুরুল আলম বলেন, তিনি সকাল থেকে গৌরনদী পৌরসভার বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র ঘুরে দেখেছেন। কোন এ ধরনের কোন ঘটনা তার চোখে পড়েনি। গৌরনদী পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী জহির সাজ্জাদ হান্নান একটি কেন্দ্র থেকে তার পোলিং এজেন্ট বের করে দেয়ার অভিযোগ করেছিলেন। অভিযোগ পেয়ে ওই কেন্দ্রে গিয়ে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থীকে সেখানে আসতে বলেছিলাম। তবে বিএনপি প্রার্থী সেখানে আসেননি এবং এরপর তার কাছে আর কোনও অভিযোগও দেননি।

    গৌরনদী উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গৌরনদী পৌরসভায় ৯টি ওয়ার্ডের ১৪টি কেন্দ্রের ৯৬টি কক্ষে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। এ পৌরসভায় মোট ভোটার ৩৩ হাজার ৪০৮জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৬ হাজার ৭৯৯জন এবং নারী ভোটার ১৬ হাজার ৬০৯জন। মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হারিছুর রহমান হারিছ এবং বিএনপির মনোনীত প্রাথী জহির সাজ্জাদ হান্নান।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    বরিশালে আবাসিক হোটেল পপুলার থেকে ১৬ নারী-পুরুষ আটক

    বরিশাল নগরীর পোর্ট রোড এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে ১৬ নারী-পুরুষকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে নগর‌ীর পোর্ট...