More

    গৌরনদী আগৈলঝাড়ার রাজনীতিতে  নুতন মেরুকরনের পুর্বাভাস

    অবশ্যই পরুন

    দীর্ঘদিন পর বি,এন,পির রাজনীতিতে গৌরনদী,আগৈলঝাড়ায় কর্মিদের মধ্যে  প্রান ফিরে পেয়েছে। গৌরনদী আগৈলঝাড়ার মানুষ তিন নেতার অনুসারী  হলেও দিন শেষে সকলেই বি এন পি। এ বছর নেতা কর্মিরা এলাকায় মুক্তমনে ঈদ করতে পারায় তারা আনন্দিত।

    আর এ নিয়ে গ্রামের মিনিসংসদ নামে পরিচিত টং দোকানে চায়ের ষ্টলে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষন।

    এক তথ্যের ভিত্তিতে অনেকেই আবার তিন নেতার নির্বিগ্নে এলাকায় প্রবেশকে বরিশালে সেরনিয়াবাদ পরিবারের রাজনৈতিক বিষয়টাকে গুরুত্ব হিসাবে দেখছেন।

    সাদিক আব্দুল্লাকে বিসিসিতে নমিনেশন না দেয়া, আবুল হাসানাত আব্দুল্লার ছোট ভাই খোকন সেরনিয়াবাদকে দেওয়ায় বরিশালে আওয়ামিলীগের রাজনিতিতে নেতা কর্মিদের মনের শক্তিকে দুর্বল করে ফেলেছে। আওয়ামিলীগের ক্ষমতার শেষ বছর  বরিশালের সেরনিয়াবাদ পরিবারে ক্ষমতার ভারসাম্য নিত্যদিনের নুতন গুঞ্জন মাঠপর্যায়ের আওয়ামিলীগের কর্মিরা মনবল হারাতে শুরু করেছে। আগামি সংসদ নির্বাচন যদি হয়, সে ক্ষেত্রে আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহকে নোমিনেশন না দিয়ে নানককেও দিতে পারে এমন ধারনাকে কেউ আবার উরিয়েও দিচ্ছে না।

    বি,এন,পির দাবির কাছে আন্দলনের চুরান্ত ফলাফল যদি জনগনের পক্ষে যায় তা হলে সারা বাংলাদেশে আওমিলীগের দীর্ঘ্য  ১৫ বছরের নির্যাতনের প্রতিদান তাদের ভাগ্যে বরন করা নিয়েও কর্মিরা হতাস কম নয়।
    ক্ষমতা হারাবার ভয়,আর অঞ্চলভিত্তিক পারিবারিক ক্ষমতার বিকেন্দ্রিকরন মাঠপর্যায়ের কর্মিদের মনবল ভেংগে দিয়েছে।

    প্রান্তিকপর্যায়ে খবর নিয়ে যানা গেছে গৌরনদী আগৈলঝাড়ায় আওয়ামিলীগ কর্মিরা এখন আর আগের মত শক্ত অবস্থানে থেকে বি,এন,পির কর্মিদের প্রতিহত করবে না।
    তাই ঈদে বি,এন,পির তিন নেতাদের নিজ এলাকায় উপস্থিতি ঈদ আনন্দ উপভোগের মধ্য দিয়ে  প্রমান করে বলে অনেকের ধারনা।

    যদিও বি,এন,পির তিন নেতা ঐক্যের ভিত্তিতে  এলাকায় আসেন নাই তাই তারা তাদের নিজ অনুসারিদের নিয়েই ঈদের নামাজ,পারিবারিক কবর জেয়ারাত,ও শুভেচ্ছা বক্তব্যের মধ্য দিয়েই সমাপ্ত করেছেন।
    আওয়ামিলীগের এই দুর্বলতার সুজগেও ঐক্যের ভিত্তিতে বি,এন,পির তিন নেতা গৌরনদী কেন্দ্রিয় জামাতে অংশ নিতে পারেন নাই।তাই তা নিয়েও রয়েছে নানা মতবাদ। বি,এন,পির তৃর্নমুল কর্মিদের মধ্যে এ নিয়ে ক্ষোভ না থাকলেও অনেকের মধ্যেে এনিয়ে রয়েছে আলোচনা।

    আজ যদি তিন নেতার ঐক্যের ভিত্তিতে ঈদের জামাত গৌরনদী কেন্দ্রিয় ঈদগাহে হত তা হলে বি,এন,পির রাজনৈতিক সংস্কৃতি আরো সুন্দর হত। এখন বেশীরভাগ জাতীয়তাবাদি প্রেমিক সেই আশায় বুক বেধে তিন নেতার দিকে তাকিয়ে আছে।

    এই আসনে সংসদিয় নির্বাচনে নোমিনেশন একজন পাবে আর সে নোমিনেশন কেন্দ্র যাকে দিবে সেটাই সকলে মেনে নিবে এ কথা সকলের বোধগম্য থেকেও তিন নেতাদের অহমিকা দূর করে এক প্লাটফর্মে  এসে কাজ করলে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে শক্তিশালি ভুমিকায় অবতির্ন হতে পারবে। আর এতে এ অঞ্চলের বি,এন,পি হবে সবচেয়ে শক্তিশালী।

    আওয়ামিলীগের এই দুর্বলতাকে তিন নেতার ঐক্যের ভিত্তিতে কাজে লাগাতে পারলে বি,এন,পি এ অঞ্চলে যেমন হবে শক্তিশালী তেমন এ আসনের রাজনৈতিক মেরুকরনে মিলবে ইতিবাচক সারা।

    অহমিকা,দাম্ভিকতা নয়, সাধারন তৃর্নমুলের প্রানের দাবী ঐক্য।
    এ দিক বিবেচনায় তারা  এলাকার কর্মিদের নিরাপত্তা দিবেন  এআশায় বুক বেধে আছে।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    বরিশালে আবাসিক হোটেল পপুলার থেকে ১৬ নারী-পুরুষ আটক

    বরিশাল নগরীর পোর্ট রোড এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে ১৬ নারী-পুরুষকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে নগর‌ীর পোর্ট...