More

    মঠবাড়িয়ায় প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়নের টাকা নিয়ে নয় ছয়

    অবশ্যই পরুন

    পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় ১৩০নং দক্ষিণ পূর্ব বাদুরতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়নের টাকা বাস্তবায়ন না করে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার আশ্রয় নিয়ে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

    এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির একাধিক সদস্য ও অভিভাবক উপপরিচালক প্রাথমিক শিক্ষা, বরিশাল বিভাগসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

    অভিযোগে জানা যায়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের স্বেচ্ছাচারিতায় ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরের ভোট কেন্দ্র মেরামত ও ক্ষুদ্র মেরামত বাবদ বরাদ্দকৃত ২,৫০,০০০/- (দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকার উন্নয়ন কাজ দৃশ্যমান না করায় বিদ্যালয়টির স্থাপনা অস্থিত্ব সংকটে পড়েছে। ইতোপূর্বে মঠবাড়িয়া উপজেলার শিক্ষা অফিস এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রধান শিক্ষককে একাধিকবার চিঠি দিয়েও কোন লাভ হয়নি। যার স্মারক নং-উশিঅ/মঠ/পিরোজ/৪৬১/২।

    ওই প্রধান শিক্ষক ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরের স্লিপের টাকার কোন উন্নয়ন মূলক কাজ না করে ৪০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য কর্তৃক ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য বরাদ্দকৃত টি আর এর ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করে বিদ্যালয়ের দৃশ্যমান কাজ না করে আত্মসাৎ করেন। ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছর থেকে স্লিপ ও রুটিন মেইনটেনন্যান্স এর ৩ লক্ষ টাকার আদৌ কোন ব্যয় না করে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এবং কিছু দালাল চক্রের যোগসাজসে ব্যক্তিগতভাবে ভোগ করেন। প্রাক-প্রাথমিকের জন্য বরাদ্দকৃত প্রতি বছর ১০ হাজার টাকা করে ৫ বছরে ৫০ হাজার টাকা কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের নিয়ে ভাগ বাটোয়ারা করে নেওয়ায় শ্রেণিকক্ষ পাঠদানের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। অদ্যবধি কোন প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হয়নি। তিনি একজন সচিবের নাম ভাঙিয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে হুমকি দিয়ে বিদ্যালয়টিতে মগের মুল্লুক কায়েম করেছেন। কোন কর্মকর্তা কথা বললেই কথিত ওই সচিবের পরিচয় দিয়ে দুর্গম স্থানে বদলী করে দেওয়ার হুমকি দেন তিনি।

    অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

    তবে এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোতালেব হোসেন মাষ্টার জানান, বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট একাধিকবার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দিয়েও কোন সুফল না পাওয়ায় অনেকটা হতাশ হয়ে পড়েছি। বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে নিজে বাদী হয়ে প্রধান শিক্ষকের অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে হুমকির সম্মুখীন হয়েছি বারবার। তার ঔদত্যপূর্ণ আচরণে মনে হয় এখানে সরকারের কোন আইন চলে না, চলে ওই প্রধান শিক্ষকের নিজস্ব আইন। তিনি বারবার সরকারি টাকা আত্মসাৎ করে পার পেয়ে যাওয়ায় উপজেলার অন্যান্য বিদ্যালয়েও অনিয়মের দিকে উৎসাহিত হচ্ছে।

    প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রবীন্দ্রনাথ রায় জানান, বিষয়টি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিতে হবে। অভিযোগ পেলে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০

    বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী আহত...