পটুয়াখালীর বাউফলে পাকা ভবন নির্মাণকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর জখম হয়ে আহত হয়েছেন সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রেজাউল করিম (৩০)। তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। এঘটনায় পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে (২৬ মার্চ) বেলা ১১ টায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডভূক্ত গোসিংগা গ্রামের পল্লী বিদ্যুৎ পক্ষ প্রতিপক্ষের নির্মাণাধীন পাকা ভবনের ভিতরে। আহত রেজাউল করিম ওই গ্রামের জলিল খলিফার ছেলে। তিনি বাউফল ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রেজাউল করিম তার নির্মাণাধীন পাকা ভবনের ভীতরে ইট দিয়ে দেওয়াল দিচ্ছে। এদিকে প্রতিপক্ষ খলিল খলিফা ও তার স্ত্রী আলো বেগম থানায় গিয়ে পুলিশ নিয়ে আসেন। পুলিশ আসলেই তাদের সামনে খলিলের বেয়াই শাহ জালাল ওই খলিল ও তার স্ত্রী আলো বেগমকে নির্দেশ দেন ” ওদের ধর পিটা দেওয়াল ভাঙ্গ ” ওমনি ওই খলিল ও তার স্ত্রী আলো বেগম দৌড়ে এসে রেজাউলের মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে এবং ইটের দেওয়াল ভেঙ্গে ফেলে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আহত সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রেজাউল করিম জানান, আমাদের এজায়গা নিয়ে একটা দ্বন্দ ছিল। কিন্তু তিন মাস আগে খলিল তার ঘরের কাজ ধরেন। আমরা স্থানীয় গণ্যমান্য শালিশ-মীমাংসার মাধ্যমে তিন মাস পরে আমার ঘরের কাজ ধরি এবং আজ শুক্রবার ভবনের ভিতরে ইট দিয়ে দেওয়াল দিচ্ছি। তারা গিয়ে পুলিশ নিয়ে এসেছে বেশ ভালো। এদিকে পুলিশের সামনেই খলিলের বেয়াইর হুকুমে খলিল ও তার স্ত্রী আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করেছে।
আহত রেজাউল করিমের মা মনজিলা জানান, আমার ছেলের ওপর ওদের আগে থেকেই ক্ষোভ তাই পুলিশের সামনেই আমার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে এ হামলা।
প্রতিপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে আসা এসআই আল-আমিন জানান, আমি ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে আসার আগেই অভিযোগদাতা খলিল এসে তাদের সাথে মারধর ও ইটের দেওয়াল ভেঙ্গে ফেলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি এবং ঘটনাস্থল থেকে খলিলের বেয়াই হুকুমদাতা শাহ জালাল মৃধা, খলিলের স্ত্রী আলো বেগম ও খলিলের চাচাতো ভাই হারুন খলিফাকে আটক করা হয়।
এবিষয়ে বাউফল থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে ও ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।