More

    মুলাদীতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর বোমা হামলা, স্বতন্ত্র প্রার্থীর বাসা ভাঙচুর

    অবশ্যই পরুন

    বরিশালের মুলাদী উপজেলার গাছুয়া ইউনিয়নে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল মালেক সিকদারের ওপর বোমা হামলা চালিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীর লোকজন। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হামলা করা হয়েছে। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জসিম উদ্দিন বেপারী ছোট ভাই বশির উদ্দিনের নেতৃত্বে প্রথমে পদ্মারহাট নামক এলাকায় এই হামলা চালানো হয়। সেখান থেকে কোনো রকমের প্রাণ নিয়ে আহত অস্থায় ফিরে এলে পুনরায় একটি কম্পিউটারের দোকানে হামলা করে। এতে তিনি গুরুতর জখম হয়েছেন।

    অন্যদিকে একই ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোকছেদ আলম মীরের বাসা-বাড়িতে হামলা করা হয়েছে। এই প্রার্থীর অভিযোগ উপজেলা চেয়াম্যান তারিকুল আলম মিঠু ও তার ভাই টিপু খানের নেতৃত্ব অর্ধশত যুবক ধারালো অস্ত্র-লাঠিসোটা নিয়ে সন্ধ্যার পুর্ব মুহূর্তে বাসায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।

    মুলাদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়েজ উদ্দিন দুটি হামলার ঘটনা স্বীকার করে জানিয়েছেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়েছেন।

    চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল মালেক সিকদার জানান, বিকেলে স্থানীয় পদ্মারহাট এলাকায় তার একটি প্রচার গাড়ি ভাঙচুর করে আ’লীগের প্রার্থীর লোকজন। এই খবর পেয়ে তিনটি মোটরসাইকেল নিয়ে তিনি সেখানের উদ্দেশে রওনা হলে পথিমধ্যে বাশতলা এলাকায় নৌকার লোকজন তাকে লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করে। এতে তিনি প্রাণে বেঁচে গিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে পদ্মারহাট এলাকায় পৌছে যান। সেখানে নৌকার প্রার্থীর ভাই বশির উদ্দিন অর্ধশত লোকজন হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারধর করে।

    মি. মালেক অভিযোগ করেন, সেখান থেকে কোনো রকমের জীবন নিয়ে থানায় গেলে ওসি দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণের পরামর্শ দেন। এরপর তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে হামলা ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষে একটি কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে অভিযোগ তৈরি করছিলেন। এসময় আবারও হামলাকারী ছুটে এসে তার ওপর ঝাপিয়ে পড়ে এবং পিটিয়ে রক্তাক্ত করে ফেলে রেখে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় তাকে উদ্ধার করে ফেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করে।

    প্রায় একই সময়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোকছেদ আলম মীরের বাসা-বাড়িতে সশস্ত্র হামলা করে নৌকার লোকজন। প্রার্থীর অভিযোগ, উপজেলা চেয়াম্যান তারিকুল আলম মিঠু ও তার ভাই টিপু খানের নেতৃত্ব অর্ধশত যুবক ধারালো অস্ত্র-লাঠিসোটা নিয়ে সন্ধ্যার পূর্ব মুহূর্তে বাসায় হামলা চালিয়েছে। একপর্যায়ে তারা ইটপাটকেল ছুড়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। এবং নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রাণণাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও জড়িত কাউকে আটক করেনি।

    স্বতন্ত্র প্রার্থীর বাড়িতে হামলা ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে মারধরের বিষয়টি স্বীকার করলেও বোমা হামলার ঘটনা অস্বীকার করেছেন। তার দাবি, বিস্ফোরিত বস্তুটি ককটেল ছিল।

    উভয় ঘটনায় মামলা হবে এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার কথা জানিয়েছেন ওসি। তিনি আরও জানান, জাতীয় পার্টির প্রার্থীর প্রার্থী তাদের হেফাজতে আছে এবং একটি মামলা গ্রহণ প্রস্তুতি চলছে।’

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    কালকিনিতে আড়িয়াল খাঁ নদের তীর কেটে মাটি উত্তোলন: চালককে ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা

    কালকিনি (মাদারীপুর) প্রতিনিধি: মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার খাসেরহাট এলাকায় বৃহস্পতিবার বিকালে আড়িয়াল খাঁ নদের তীর কেটে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলনের অভিযোগে...