সন্ধ্যা নদীর কোল ঘেঁষে ইতিহাস-ঐতিহ্য ও জ্ঞানী-গুনীর চারণ ভূমি বরিশালের বানারীপাড়া। সেই সন্ধ্যা তীরের প্রাণকেন্দ্র পৌর শহরে ছিল ভারতের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান পদ্মবিভূষনে ভূষিত আধুনিক বাংলা কবিতার পুরোধা ব্যক্তিত্ব কবি শঙ্খ ঘোষের পৈতৃক বাড়ি। বুধবার ২১ এপ্রিল সকালে কলকাতায় নিজ বাসভবনে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন বানারীপাড়ায় আলো-ছায়ায় বেড়ে ওঠা সমকালীন বাংলা কবিতার অন্যতম প্রধান এ কবি। সর্বশেষ কবি তার পূর্বপুরুষের ভূমিতে ১৯৯৭ সালে এসেছিলেন। আবারও আসার আকুতি ছিলো তাঁর। বার্ধক্যের কারণে শরীরে রোগ শোক বাসা বাঁধায় সে আর হয়ে ওঠেনি। অনন্তলোকে পাড়ি জমানোয় শৈশব-কৈশোরের স্মৃতি ঘেরা বানারীপাড়ার পৈতৃক ভিটেয় এসে প্রিয় সন্ধ্যা নদীর সৌন্দর্য অবগাহনের অভিপ্রায় তাঁর অপূর্ণই থেকে গেলো।
১৯৩২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি চাঁদপুরে মামা বাড়িতে জন্মগ্রহণ ও বাবার কর্মস্থল পাবনায় শিক্ষা জীবন কাটলেও শৈশব এবং কৈশোরের অনেকটা সময় তিনি বানারীপাড়ায় কাটান। কবির বংশীয় ভ্রাতুষ্পুত্র বানারীপাড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি তরুণ ঘোষ বলেন, বানারীপাড়া পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডে ঘোষের বাড়ি কবির পৈতৃক নিবাস। কবি ১৯৯৭ সালে বানারীপাড়া এসে পৈতৃক ভিটাসহ তার শৈশবের স্মৃতি জড়ানো স্থানগুলো ঘুরে গেছেন। তরুণ ঘোষ জানান, শঙ্খ ঘোষ শৈশব-কৈশোরের স্মৃতি ঘেরা সন্ধ্যা নদীকে খুব ভালোবাসতেন। কলকাতা গেলে বারবার বলতেন- ‘আবার সন্ধ্যা নদীর তীরে যেতে চাই।’ বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম সালেহ মঞ্জু মোল্লা বলেন, আশির দশকেও একবার কবি বানারীপাড়ায় এসেছিলেন। তখন তাদের বাড়িতে মধ্যাহ্ন ভোজ করেন।
