বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলাধীন ৩ নম্বর চরএককরিয়া ইউনিয়নের পূর্ব ইয়ারবেগ গ্রামে মৃত সামছুল হক পালোয়ানের বিধবা স্ত্রী শাহানাজ বেগমের বিধবা ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার কথিত প্রতারক সেকুল রাঢ়ীর বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী শাহানাজ বেগম জানান, পূর্ব ইয়ারবেগ গ্রামের নজির আহম্মেদ রাঢ়ীর ছেলে সেকুল রাঢ়ী তাকে একটি বিধবা ভাতার কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর পূর্বে তার কাছে থেকে ৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এর কিছুদিন পরেই তার নামে বিধবা ভাতার বই প্রস্তুতের কথা বলে আরোও ১০ হাজার টাকা দাবি করেন।
পরবর্তীতে শাহানাজ বেগম দাবিকৃত ১ হাজার টাকা দিয়ে তার বই চাইলে প্রতারক সেকুল রাঢ়ী বই প্রস্তুত করে তাকে জানাবেন বলে জানান। একপর্যায়ে তার এক প্রতিবেশী ইউনিয়ন পরিষদের বিধবা ভাতার তালিকায় ভাতাভোগী হিসাবে তার নাম দেখতে পেয়ে তাকে জানালে (বুধবার) তিনি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদে যোগযোগ করে জানতে পারেন তার নামের বিধবা ভাতার বই প্রায় ১ বছর পূর্বেই ইস্যু করা হয়েছে এবং উক্ত বইয়ের আওতায় ইতিপূর্বে ৬ হাজার টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এসময় তিনি ভাতার বই পাননি এবং কোন টাকা উত্তোলন করেননি বলে জানালে বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে তাকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তার বিধবা ভাতার বইটি প্রেরণ করা হয়। এবং টাকা না পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে তাকে উপজেলা সমাজ সেবা অফিসে যোগাযোগ করতে বলেন।
পরবর্তীতে তিনি উপজেলা সমাজসেবা অফিসে যোগাযোগ করে টাকা না পাওয়ার বিষয়টি জানান। তাৎক্ষণিক সমাজসেবা কর্মকর্তা বিধবা ভাতার বইতে প্রদত্ত মোবাইল নাম্বার চেক করে দেখাতে পান, ভাতার বইতে দেওয়া মোবাইল নম্বরটি প্রতারক সেকুল রাঢ়ীর। বিষয়টি জানতে প্রতারক সেকুল রাঢ়ীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি শাহানাজ বেগমের নিকট থেকে বিধবা ভাতার কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে ৩ হাজার টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভুক্তভোগী জানান, প্রতারক সেকুল রাঢ়ী স্থানীয় বিভিন্নজনকে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা ও পঙ্গু ভাতার কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে মোটা অংকের টাকা আত্মসাৎ করে আসছেন। তার এই প্রতারণার হাত থেকে তার বড় ভাই ফিরুজ রাঢ়ী এবং বিধবা বোনও রক্ষা পায়নি।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী শাহানাজ বেগম সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট বিধবা ভাতার বইতে প্রদত্ত মোবাইল নম্বরটি সংশোধন করে তার ব্যক্তিগত নম্বর প্রদান করাসহ প্রতারক সেকুল রাঢ়ীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।’