শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে বৈবাহিক অবস্থা লিখতে বাধ্য করা যাবে না বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি নাইমা হায়দারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
১১ ডিসেম্বর, ২০১৭ তারিখে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে এই রায় ঘোষণা করা হয়। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্তা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রাজশাহীতে ধর্ষণের শিকার এক ছাত্রীকে ‘রাজশাহী সরকারি নার্সিং কলেজে’ ভর্তি না করায় এই রিট করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ফাহরিয়া ফেরদৌস ও নাহিদ সুলতানা জেনি এ রিট দায়ের করেন।
২০১৩ সালের ৬ জুন দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। পরে গ্রামের লোকজন ধর্ষকের সঙ্গে মেয়ের বিয়ের জন্য চাপ দিলে অভিযুক্ত যুবক সব কিছু অস্বীকার করলে সালিশ ভেঙে যায়। এরপর প্রতিপক্ষের হুমকিতে মেয়েটির পরিবার মামলা করতে পারে না।
এক পর্যায়ে শিশুটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে ছাত্রীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়। এরপর ওসিসি একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে এবং পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। পরে ডিএনএ টেস্টে প্রমাণিত হয় ওই যুবকই সন্তানের বাবা। ২০১৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছেলের জন্ম দেন ওই ছাত্রী।