স্টাফ রিপোর্টারঃ আজ ৪ঠা মে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় বাকেরগঞ্জের শ্যামপুরে শহীদ সুধীর কুমার স্মৃতি পাঠাগারে সন্ত্রাসী মজিবর গাজী কর্তৃক ডা: মনীষার উপর হামলাচেষ্টা ও জমি দখলের অপচেষ্টার প্রতিবাদে বাসদ বরিশাল জেলা শাখা বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।
বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাসদ বরিশাল জেলা শাখার সদস্য সচিব ডাঃ মনীষা চক্রবর্তী ও বক্তব্য রাখেন বাসদ বরিশাল জেলা শাখার সদস্য দুলাল মল্লিক, মানিক হাওলাদার, সন্তু মিত্র, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মাহমুদা খানম, মহিলা ফোরাম বরিশাল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শানু বেগম, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট বরিশাল মহানগর শাখার প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক বিজন শিকদার, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট বরিশাল জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, সদস্য শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বাকেরগঞ্জ উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নে শ্যামপুর গ্রামে বাসদ বরিশাল জেলা শাখার সদস্য সচিব ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তী, পিতা সর্বজন শ্রদ্ধেয় বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট তপন চক্রবর্তী ও পিতামহ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সুধীর কুমার চক্রবর্ত্তীর এই তিন পুরুষের ভিটা অবস্থিত। গত ৪ বছর আগে তাদের এই বসতভিটায় ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তীর পিতামহ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট সুধীর কুমার চক্রবর্ত্তীর নামে একটি দাতব্য চিকিৎসাকেন্দ্র ও পাঠাগার স্থাপন করা হয়। এই উদ্যোগে গ্রামের মানুষেরা উপকৃত হলেও বর্গাচাষীরাসহ একটি কুচক্রি মহল বিভিন্ন সময় নানারকম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করে। সর্বশেষ গতকাল ৩রা মার্চ ডা: মনীষা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণের জন্য ডিজাইন করার উদ্দেশ্যে জমিতে গেলে তাদের প্রাক্তন বর্গাচাষী মজিবর গাজী ডিজাইন করতে বাধা দেয় এবং চলে যেতে বলে। ডাক্তার মনীষাসহ বাকিরা চলে আসতে অস্বীকৃতি জানায় এবং বাড়ির ডিজাইনের জন্য জমি মাপতে থাকে। এরপর মজিবর গাজী তার ছেলে খোকন গাজী, কুদ্দুস হাওলাদারসহ ১০-১৫ জন সহকারে দা নিয়ে মহড়া দেয় ও ডাক্তার মনীষার উপর হামলা করতে উদ্যত হয়। এসময় এলাকার লোকজন চলে আসায় তারা হামলা থেকে বিরত হয়ে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতে থাকে। পরে পুলিশ আসার পর তারা পালিয়ে যায়।
বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই বাসদের পক্ষ থেকে ডাক্তায় মনীষা বাকেরগঞ্জে মানুষের জন্য একটি দাতব্য চিকিৎসাকেন্দ্র ও পাঠাগার নির্মাণে নিরলস প্রয়াস চালিয়ে আসছে। কিন্তু নিজেদের পৈতৃক জমিতে জনস্বার্থে একটি প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করতে গিয়ে হামলার শিকার হওয়া আইনের শাসনের অনুপস্থিতিই প্রমাণ করে। এর আগেও এই কুচক্রীমহল দখলদারদের পক্ষে শহীদ সুধীর কুমার চক্রবর্তী স্মৃতি পাঠাগার ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কেউ গেলে তাদের উপর হামলা চালাতে প্রচারণা চালিয়েছেন। ফলে এই ঘটনার পেছনে কোন প্রভাবশালী মহলের জড়িত থাকার সম্ভাবনা অত্যন্ত স্পষ্ট। বক্তারা অবিলম্বে পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে এই ঘটনার দ্রুত বিচার ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।