বরিশালের বাবুগঞ্জ এবং গৌরনদীতে যৌথ অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ৩২০ কেজি (৫৮ মণ) জাটকাসহ ৬ জনকে আটক করেছে মৎস্য অধিদপ্তর। এসময় ৮টি চরঘেরা জাল এবং ৫০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে। রোববার মধ্যরাত থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত বাবুগঞ্জ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম নেতৃত্বে বিভিন্ন স্পটে অভিযান চালায় মৎস্য অধিদপ্তর, র্যাব, পুলিশ ও আনসার ব্যাটালিয়নের সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনী। এসময় বাবুগঞ্জের আড়িয়াল খাঁ নদীর চর জাহাপুর, চর ফতেহপুর এবং গৌরনদীর টরকী বন্দরের মাছের আড়ৎ থেকে ১ হাজার ৭২০ কেজি (৪৩ মণ) জাটকা ও জাল জব্দ করা হয়। জাটকা বিক্রি এবং পরিবহন কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে এসময় ৪ জনকে আটক করে থানায় সোপর্দ করা হয়।
এর আগে রোববার মধ্যরাতে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের দোয়ারিকা সেতু এলাকা এবং মীরগঞ্জ মাছের আড়ৎ থেকে ৬০০ কেজি (১৫ মণ) জাটকাসহ উজিরপুরের জালাল সিকদার এবং সুমন হাওলাদার নামের ২ ব্যক্তিকে আটক করে মৎস্য অধিদপ্তর। পরে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাদের প্রত্যেককে ৫ হাজার করে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুব্রত বিশ্বাস দাস।
বাবুগঞ্জ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম বলেন, ‘ এখন ভরা পূর্নিমার জো চলছে বলে নদীতে জাল ফেললেই ঝাঁকে ঝাঁকে জাটকা ধরা পড়ছে। আড়ৎ থেকে এগুলো বরফ দিয়ে প্রসেসিং ও প্যাকেট করে পাঠানো হচ্ছে বিভিন্ন হাটবাজারে। তাই আমরা বিনিদ্র রাত জেগে এখন নদী এবং সন্দেহভাজন মাছের আড়ৎগুলো পাহারা দিচ্ছি।’
উল্লেখ্য, গত ১১ জানুয়ারি থেকে জাটকা ও দেশীয় প্রজাতির মাছের রেণু-পোনা সংরক্ষণের লক্ষ্যে যৌথ অভিযান শুরু হয়েছে। মৎস্য অধিদপ্তরের এ অভিযান চলবে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত বাবুগঞ্জ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমের নেতৃত্বে প্রায় ৭ হাজার ৩২০ কেজি (১৮৩ মণ) জাটকা জব্দ করে করেছে মৎস্য অধিদপ্তর। জব্দকৃত এসব মাছ উপজেলার বিভিন্ন এতিমখানা এবং দুঃস্থ-অসহায় মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
