More

    পটুয়াখালীতে নিম্নচাপের প্রভাব নেই, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় নেয়া হচ্ছে প্রস্তুতি

    অবশ্যই পরুন

    বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে সকাল ১০ টার পর থেকে পটুয়াখালীতে মেঘাচ্ছন্ন গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছে সেই সাথে ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে। নিম্নচাপের সাথে পূর্ণিমার জোঁ থাকার কারণে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর স্বাভাবিক রয়েছে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পর্যটকদের সাগরে নামতে দেখা গেছে।
    পটুয়াখালীর উপকূলীয় অঞ্চলের জনসাধারণ, মৎস্যজীবী ও নৌযানসমূহকে ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষার জন্য সকালে মৎস্য বন্দর আলীপুরে জনসচেতনতামূলক মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করে নিজামপুর কোষ্টগার্ডর সদস্যরা। এসময় তারা খাপড়াভাঙ্গা নদীতে অবস্থানরত ট্রলার সমূহে থাকা জেলেদের ঘূর্ণিঝড়ের সময় করনীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দেন।

    ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকা‌বেলায় সকাল সাড়ে দশটায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রস্তুতি মূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসক নুর কুতুবুল আলমের সভাপতিত্বে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও স্টেক হোল্ডারগন সভায় উপস্থিত ছিলেন।

    জেলা প্রশাসক জানান- দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলায় ৭০৩ টি সাইক্লোন শেল্টার ৩৫ টি মুজিব কিল্লা, ৭৩০ মেট্রিক টন চাল, ১০ লক্ষ টাকার শিশু খাদ্য, ১০ লাখ টাকার গোখাদ‌্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া শুকনা খাবার রয়েছে ১৫০০ প্যাকেট। নগদ ২৪ লাখ ৭ হাজার  ৫০০ টাকা বিভিন্ন উপজেলায় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মানুষকে সচেতন ও দুর্যোগে উদ্ধার কাজ পরিচালনার জন্য রেডক্রিসেন্ট ও সিপিপির ৯ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত থাকা সহ বিদ্যুৎ বিভাগ সড়ক বিভাগ ফায়ার সার্ভিসকে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন জেলা প্রশাসক।

    সিভিল সার্জন এসএম কবির হাসান জানান, জেলায় মোট ৭৬টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ স্যালাইন, ঔষধ ও পানি বিশুদ্ধিকরণ ট্যাবলেট সংরক্ষিত রয়েছে।

    পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আরিফুর রহমান জানান, জেলায় ১৩০০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে ১৪ কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এরমধ্যে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে ১.৫ কিলোমিটার। দুর্যোগের সময় কোথাও ভাঙ্গন দেখা দিলে তা মেরামতের জন্য ১৬ হাজার জিও ব্যাগ রয়েছে।

    কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, জেলায় ৮৭ হাজার হেক্টর জমিতে রয়েছে মুগ ডাল এবং ২০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান রয়েছে। এসবের মধ্যে কীর্তনযোগ্য ফসল দ্রুত সংগ্রহ করার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

    পায়রা বন্দরের উপপরিচালক ট্রাফিক আজিজুর রহমান জানান ইতিমধ্যে সভা করে দুর্যোগ মোকাবেলায় সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সকলকে সাবধানে থেকে বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    কলাপাড়ায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবীতে বাপাউবো এর নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের বৈঠক

    পটুয়াখালী প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের পশ্চিম লোন্দা গ্রামে টিয়াখালী নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারের প্লাবন থেকে বাড়ি—ঘর, চলাচলের...