More

    সাত বছর লিগ নেই বরিশালে

    অবশ্যই পরুন

    খেলোয়াড়দের অনেকেই মনে করতে পারছেন না বরিশালে শেষ কবে লিগ হয়েছে। ক্রিকেটে হাতেখড়ি নেওয়ার পর বর্তমান প্রজন্মের খেলোয়াড়রা জেলায় কোনো ক্রিকেট খেলেননি। বিসিবি আয়োজিত জাতীয় লিগ, জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপই বরিশালের ক্রিকেটারদের ভরসা। ঢাকার দ্বিতীয় বা প্রথম বিভাগে খেলতে পারলেই খুশি তারা। বরিশাল জেলার ক্রিকেটার শচী চৌধুরী এক নিঃশ্বাসে কথাগুলো বলে গেলেন।

    জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার কামরুল ইসলাম রাব্বি জানান, শেষ ২০১৫-২০১৬ মৌসুমে জেলা লিগ খেলেছেন তারা। গত পাঁচ-ছয় বছর ধরে লিগের জন্য দৌড়ঝাঁপ করেও কোনো লাভ হয়নি বলে জানান তিনি। বরিশালে ক্রিকেট লিগ বা টুর্নামেন্ট না হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেননি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আহসান ফেরদৌস। তিনি প্রতিশ্রুতির মতো করে জানান, স্টেডিয়ামের কাজ শেষ হলেই নিয়মিত লিগ আয়োজন করবেন।

    বরিশাল বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর খান আলো বিসিবির পরিচালক সাত বছর ধরে। তিনি অসুস্থ থাকায় বরিশালের বিভাগীয় ক্রিকেটের কার্যক্রমও পিছিয়ে পড়েছে। বিসিবি পরিচালনা পর্ষদে আলমগীর খান অনুপস্থিত থাকায় বরিশালের আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থার কমিটিও গঠন করা সম্ভব হয়নি। অভিযোগ উঠেছে, সাত বছর লিগ আয়োজন করতে না পারা কর্মকর্তারাই আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থার কমিটিতে সুযোগ পেতে দৌড়ঝাঁপ করছেন।

    জেলার ক্রিকেটার শচী চৌধুরী বলেন, ‘লিগের দাবিতে রাস্তায় নেমেও প্রতিকার পাইনি। পাঁচ বছর আগে মানববন্ধন করেছিলাম, কেউ সাড়া দেয়নি। জেলা প্রশাসকের কাছে গিয়ে স্মারকলিপি দেওয়ার পরও খেলা হয়নি। গত মাসে বরিশালের নতুন মেয়র খায়ের আব্দুল্লার কাছে গিয়েছিলাম লিগ ও টুর্নামেন্টের দাবিতে। তিনি জেলায় ক্রিকেট খেলা আয়োজনের পক্ষে। আমরা চাই ক্রিকেটারদের কথা ভাবে এবং খেলা চালাবে এমন সংগঠকদের আঞ্চলিক কমিটিতে রাখবে বিসিবি।’

    জাতীয় লিগে বরিশালের ক্রিকেটার মো. নুরুজ্জামান খুবই হতাশ নিজের জেলায় ক্রিকেট চর্চা না থাকায়, ‘ঢাকার ক্রিকেটে সুযোগ না পেলে বরিশাল জেলায় কোনো ক্রিকেটার থাকত না। বরগুনা, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, ভোলা, ঝালকাঠিতে লিগ হয়, টুর্নামেন্ট হয়। বিভাগের সব জেলা লিগ ও টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পারলেও বরিশাল জেলা ব্যর্থ।’

    বরিশালের ক্রিকেট লিগ না হওয়ার কারণ হিসেবে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস বলেন, ‘আমি লজ্জিত, সাত বছর ধরে জেলায় কোনো ধরনের ক্রিকেট লিগ বা টুর্নামেন্ট হয় না। আমার আগে যারা ছিলেন, তারা কেন খেলা চালাতে পারেননি বলতে পারব না। সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম ২০১৮ সালে মারা যাওয়ার পর প্রশাসনের হাতে ছিল ক্রীড়া সংস্থার দায়িত্ব। আমি দেড় বছর ধরে দায়িত্ব নিয়ে লিগ করার জন্য মাঠ পাইনি। আড়াই বছর ধরে জেলা স্টেডিয়ামের কাজ শেষ করতে পারেনি এনএসসি। যোগাযোগ করা হলে তারা বলে ফান্ড নেই। এ বছর কিছুটা অগ্রগতি আছে। আশা করি, আগামী মৌসুম থেকে খেলা চালাতে পারব।’

    অথচ এই লিগ করার জন্যই জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে বছরে দুই লাখ করে টাকা দেয় বিসিবি। এ ব্যাপারে ক্রিকেট বোর্ডের সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘বরিশালকে অনুদান দেওয়া হয় কিনা– রেকর্ড না দেখে বলতে পারব না। তবে জেলা পর্যায়ে নিয়মিত ক্রিকেট টুর্নামেন্ট করার জন্যই আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা গঠন করা হচ্ছে। বরিশালের কমিটি এখনও করা হয়নি। এ ব্যাপার উদ্যোগ নেওয়া হলে যোগ্য সংগঠকরাই সুযোগ পাবেন।’ সাত বছর লিগ বা টুর্নামেন্ট না হলেও জেলাটি থেকে বিসিবিতে কাউন্সিলর আছেন। বিসিবির পরিচালক নির্বাচনে ভোটও দেন তিনি।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    আফগানিস্তানকে হারিয়ে লঙ্কানদের দিকে তাকিয়ে টাইগাররা

    আফগানিস্তানকে ৮ রানে হারিয়ে সুপার ফোরের দৌড়ে টিকে রইল বাংলাদেশ। তবে লঙ্কানদের দিকে তাকিয়ে থাকলে হচ্ছে টাইগারদের। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর)...