বরিশাল নগরীর ২৭ নং ওয়ার্ডের ডেফুলিয়ায় একই পরিবারের পাঁচজনকে কুপিয়ে ও হাতুড়ি পেটা করে আহত করেছে দুবৃত্তরা। এছাড়া একজন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছে আহতর স্বজনরা।
বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি হওয়া পাঁচজনের মধ্যে তিনজনেরই অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছে কর্তব্যরত চিসিৎসক। এ ঘটনায় বরিশাল এয়ারপোর্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী নুসরাত জাহান এনি।
জানা গেছে, প্রলয়ংকারী ঘুর্ণিঝড় রিমেলের প্রভাবে একটি গাছ উপড়ে পরে কবির হোসেনের ঘরের বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ও ঘরের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ঝুঁকি এড়াতে ২৯ মে সকাল ১০টার দিকে কবির হোসেন এর ছোটভাই ও দুই ভাগিনা গাছটির ডালপালা কাটতে গেলে প্রতিবেশী ইউনুছ খানের নেতৃত্বে হামলা চালায়। এ সময় কবির হোসেনের বাবা প্রতিবাদ করলে তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে মাটিতে ফেলে দেয়্ ।
এ সময় করিব হোসেন ও তার ভাগিনা ও ভাই সহ তার মাকে এলোপাতারি কুপিয়ে ও পিটিয়ে নৃসংশতা চালায় জাহিদ, রাহাত, সাইদুল, জাকির, মনির, আলী আজিম, খাদেম আলী সহ আরো বেশ কয়েকজন দুবৃত্ত। এতেও খ্যান্ত নায়ে হয়ে তাদের ঘরে রামদা দিয়ে কুপিয়ে আসবাবপত্র ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।
উপায়ান্তর না পেয়ে ৯৯৯ এ ফোন দিলে এয়ারপোর্ট থানার চৌকস এসআই ছগির হোসেন সহ একটি টিম গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে এম্বুলেন্স যোগে শেবাচিম হাসপাতালে পাঠায়। এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে কবির হোসেনের ছোটভাই ইমন হাসপাতালের প্রয়োজনীয় কাপড়চোপর আনার জন্য বাড়িতে গেলে তাকে ঘিরে ফেলে ইউনুছ গংরা। ইমনের কাছে আগের দিনের হামলার ভিডিও আছে এমন অভিযোগ এনে তার দুটি মোবাইল ছিনিয়ে নেয় তারা।
ইমন প্রতিবাদ করলে শুরু হয় মারধর। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম করা হয়। এক পার্যায়ে তাকে জবাই করার জন্য গলায় অস্ত্র ঠেকায় বলে দাবি করে ইমন। পার্শ্ববর্তী লোকেরা দেখে কবির হোসেনকে জানালে সে পুলিশে খবর দেয়।
এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ কর্মকর্তা এসআই মেহেদী হাসান সহ একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় ইমনকে উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে পাঠায় । বর্তমানে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে ইমন। দ্রুত উন্নতির দিকে না এলে তাকে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসায় পাঠানো লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এ বিষয়ে যুবলীগ নেতা কবির হোসেন বলেন, আমার বাবা, মা, ভাই ও ভাগিনাদের নৃশংসভাবে কুপিয়েছে ইউনুছ গংরা। তাদের সাথে জমিজমা নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও ন্যায় বিচার দাবি করছি।