More

    বরিশালে চামড়ার দামে খুশি নন মাদরাসা শিক্ষকরা

    অবশ্যই পরুন

    কোরবানির পশুর চামড়ার দাম কম পাওয়ায় খুশি নন বরিশালের মাদরাসা ও লিল্লাহ বোডিং প্রতিষ্ঠানগুলো। দরিদ্র ও এতিম তহবিলের বড় আয়ের উৎস এই চামড়া থেকে আসে। এসব চামড়া বিক্রির টাকা দিয়ে মাদরাসার লিল্লাহ বোর্ডিং ও এতিমখানার ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ালেখার খরচ ও খাবারের ব্যবস্থা হয়ে থাকে।

    কিন্তু চামড়ার দাম কম হওয়ায় আর্থিক সংকট হবে বলে মনে করছেন মাদরাসার শিক্ষক ও এতিমখানা কর্তৃপক্ষ। অনুসন্ধানে জানা যায়, এবার বরিশালে ছোট ও বড় গরুর চামড়া প্রকারভেদে ৩‘শ থেকে ৬‘শ টাকায় কিনছেন ব্যবসায়ীরা। তবে বর্গফুট আকারে চামড়ার দর সরকার নির্ধারণ করলেও সে নিয়মে বিকিকিনি হয়নি।

    এদিকে বড় মাদরাসাগুলো সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি না করে গতবারের চেয়ে ভালো দাম পেয়েছে। তারা ৫‘শ থেকে ৬৮০ টাকা পর্যন্ত পশুর চামড়া বিক্রি করেছেন। অন্যদিকে গরুর চামড়া বিক্রি করতে পারলেও ছাগলের চামড়া কেউ কিনতে চাইছে না।

    ফলে ছাগলের চামড়া নিয়ে বিপাকে পড়েছে মাদরাসার কর্তৃপক্ষ। বরিশালের কোরবানির চামড়া সংগ্রহকারী বিভিন্ন মাদরাসা কর্তৃপক্ষ জানায়, মাদরাসা ও এতিমখানাগুলোর আয়ের বড় উৎস কোরবানির পশুর চামড়া। এই টাকা দিয়ে মাদরাসার লিল্লাহ বোর্ডিং ও এতিমখানার ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ালেখার খরচ ও খাবারের ব্যবস্থা হয়ে থাকে। এখন চামড়া ব্যবসায়ীরা টাকা বাকি রেখে কিনছেন।

    তাই পশু কোরবানি হওয়ার পর সংগ্রহে খরচ ও দাম কম হওয়ায় এ বছর অনেক মাদরাসা চামড়া সংগ্রহ করেনি। জামিআ ইসলামিয়া মাহমুদিয়া মাদরাসার মোহতামিম হাফেজ মাওলানা ওবায়দুর রহমান বলেন, আমরা ৬১৫টি চামড়া বিক্রি করেছি ৬৫০ টাকা দরে। কিন্তু গতবারের চেয়ে ভালো দাম পেলেও বছর পাঁচেক আগে চামড়ার দাম ৪ থেকে ৫ গুণ বেশি ছিলো।

    এই আয়ের ওপর নির্ভর করে এখন আর মাদরাসার শিক্ষার্থীদের খরচ বহন করা সম্ভব হয় না বলে যোগ করেন তিনি। বরিশাল কাউনিয়া ব্রাঞ্চ রোড হাফিজিয়া মাদরাসার মোহতামিম ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, ৭০ পিস গরুর চামড়া সংগ্রহ করে নগদ ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। এই আয় দিয়ে ৪০ জন শিক্ষার্থীর খাবার খরচও হয় না। আমাদের অন্য উপায়ে খরচের ব্যবস্থা করতে হয়।

    ব্যবসায়ী জিল্লুর রহমান মাসুম বলেন, বরিশাল জেলায় ৭-৮ জন ব্যবসায়ী চামড়া সংগ্রহ করেন। মান ও আকারভেদে ৩‘শ থেকে সর্বোচ্চ ৬‘শ টাকায় কিনেছি। যা গতবারের থেকে তুলনামূলক বেশি। চামড়া সংরক্ষণে গড়ে ৪‘শ টাকার বেশি খরচ হয়। খরচ বুঝে মূল্য পরিশোধ করা হচ্ছে।

    হাইড অ্যান্ড স্কিন অ্যাসোসিয়েশন বরিশালের সভাপতি বাচ্চু মিয়া বলেন, ব্যবসায়ীরা সংরক্ষণ ও পরিবহন খরচ বাড়ার কারণে এই মূল্যে চামড়া কিনছে, এখানে সিন্ডিকেটের কারণ নেই। আবার সংরক্ষণ করা চামড়ার মধ্যে এই গরমে ১৫ শতাংশ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা আছে।

    বরিশাল প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রমতে, এবার জেলায় এক লাখের বেশি পশু কোরবানি হওয়ার কথা।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    ২ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ০ রান বাংলাদেশের

    যতটা সম্ভব বাজেভাবে ম্যাচ শুরু করা সম্ভব, করেছে বাংলাদেশ। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দুই ওভারে কোনো রান...