আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধিঃ বরিশালের আগৈলঝাড়ায় লক্ষাধিক টাকার অবৈধ জালসহ এক ব্যবসায়ীকে মৎস্য অফিসে আটকে রাখলেও তাকে জেল—জরিমানা না করে ছেড়ে দিয়েছে মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা চন্দ্র শেখর সোম। এঘটনা নিয়ে মৎস্য ব্যবসায়ীদের মাঝে তোলপাড় শুরু হয়েছে। তবে মৎস্য অফিসের জেলার এক কর্মকর্তা জানান, জালসহ কাউকে আটক করা হলে তাকে জেল—জরিমানা ছাড়া ছেড়ে দেওয়া যাবে না।
কেউ যদি ছেড়ে দেয় সেই দায় দায়িত্ব তার নিতে হবে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর থেকে অবৈধ চায়না দুয়ারী ১৭পিচ, কারেন্ট জাল ৩২ পাউন্ড, চায়না চাই ৪০ পিচসহ লক্ষাধিক টাকার অবৈধ জাল নিয়ে আসেন জাল ব্যবসায়ী আবু বক্কর ফকির।
সে আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের জলিরপাড় গ্রামের ছবেদ আলী ফকিরের ছেলে। অবৈধ জাল ব্যবসায়ী আবু বক্করকে উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের বসুন্ডা নামক স্থানে ভ্যান ও অবৈধ জালসহ আটক করে উপজেলা মৎস্য সম্প্রসারন কর্মকর্তা চন্দ্র শেখর সোম। পরবর্তীতে ব্যবসায়ীকে মৎস্য অফিসে প্রায় এক ঘণ্টা আটক রাখার পর তাকে জেল—জরিমানা না করে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেয় মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা চন্দ্র শেখর সোম।
পরে অবৈধ জাল গুলো পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়। পুড়িয়ে ফেলা চায়না জাল থেকে যে রড বের হয় তা স্থানীয় ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী ইউনুস পাইকের কাছে ২হাজার ৮শত টাকায় বিক্রি করে মৎস্য অফিস। নাম না প্রকাশের শর্তে একাধিক মৎস্য ব্যবসায়ীরা বলেন, আগে মৎস্য অফিস প্রায়ই অবৈধ জালের ব্যাপারে অভিযান পরিচালনা করতো। বর্তমানে তেমন কোন অভিযান হয় না।
কারণ হিসেবে ওই মৎস্য সম্প্র্রসারন কর্মকর্তা চন্দ্র শেখর সোম জাল ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতিমাসে মাসিক মাসোহারা নেন। যার কারণে জালসহ আটক করার পরেও তাকে জরিমানা না করে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দিয়েছে। বর্তমানে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চায়না জালসহ শতাধিক ভেসাল জাল রয়েছে। তবে কোন অভিযান হচ্ছে না।
এব্যাপারে মৎস্য সম্প্র্রসারন কর্মকর্তা চন্দ্র শেখর সোম বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিখন বনিক স্যারের সাথে কথা বলে জাল ব্যবসায়ীকে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মৎস্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাসোহারা নেওয়ার কথা তিনি অস্বীকার করেন। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিখন বণিক মিটিংয়ে থাকার কারনে পরবতীর্তে কথা বলার কথা জানান।