আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধিঃ বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা সোনালী ব্যাংকের পার্টটাইম সার্ভিস (পিটিএস) কর্মচারী অসিম চন্দ্র করের বিরুদ্ধে ঋণ বিতরণে ঘুষ নেওয়া এবং ঋণগ্রহীতার পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় ও ঋণগ্রহীতা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের তালতার মাঠ গ্রামের গোপাল হালদাদের স্ত্রী ইতি হালদারের মালিকানাধীন হালদার মৎস্য খামারের নামে সোনালী ব্যাংক গৈলা শাখায় ৩ লক্ষ টাকার ঋণের জন্য আবেদন করেন। ইতি হালদার জামিনদার সংগ্রহ করতে না পারায় ব্যাংকের কর্মচারী অসিম চন্দ্র কর জামিনদার হিসেবে গৈলা হাসপাতালের কর্মচারী শহিদুল ইসলামকে হাজির করে ঋণ মঞ্জুর করান।
এসময় ঋণগ্রহীতার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা রেখে দেন গৈলা সোনালি ব্যাংকের পার্টটাইম সার্ভিস (পিটিএস) কর্মচারী অসিম চন্দ্র কর। ঋণ গ্রহণের পর ইতির স্বামী গোপাল হালদার বিদেশে চলে যান। কিন্তু নিয়মিত বেতন না পাওয়ায় কিস্তি খেলাপি হয়ে যায়।
এ অবস্থায় অসিম চন্দ্র কর গোপালের বাড়িতে গিয়ে ইতি হালদারকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি— ধামকি দেন। পরে স্থানীয়দের নিয়ে গোপালের স্ত্রী ইতি হালদার অসিমের কাছে কিস্তির টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য ১২ হাজার ৬০০ টাকা দেন। ওই টাকা অসিম ব্যাংকে জমা না দিয়ে নিজেই আত্মসাৎ করেন। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হলে বিষয়টি থানা পর্যন্ত গড়ায়।
পরে গৈলা সোনালি ব্যাংক শাখার কর্মচারী অসিম কর পুলিশের এএসআই অনুপম বিশ্বাসকে নিয়ে ইতি হালদারের বাড়িতে যায়। স্থানীয় জাহাঙ্গীর হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে ম্যানেজ করার কথা বলে ইতি হালদারের কাছ ৩ হাজার টাকা আনেন অসিম কর। এব্যাপারে অভিযুক্ত গৈলা সোনালি ব্যাংকের পার্টটাইম সার্ভিস (পিটিএস) কর্মচারী অসিম চন্দ্র কর ঋণগ্রহীতার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ও পরবর্তীতে আরো ১২ হাজার ৬০০ টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, ইতি হালদার ঋণ গ্রহণের জন্য জামিনদার সংগ্রহ করতে পারেনি।
পরে আমি জামিনদার সংগ্রহ করে ব্যাংক থেকে ৩ লক্ষ টাকা ঋণের ব্যবস্থা করে দেই। এব্যাপারে গৈলা সোনালি ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক রতন চন্দ্র দে বলেন, আমি এই শাখায় যোগদানের পূর্বে এই ঋণ দেওয়া হয়েছে। তাই এব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই। অসিমের বিরুদ্ধে এই টাকা নেওয়ার ঘটনা প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।