নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশালে বাকেরগঞ্জ উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়ন বিএনপি যেন এখন তামাশার মঞ্চ। রঙ্গশ্রী ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিলের ঠিক আগের দিন রাতে ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির ১৩ নম্বর সদস্য মোঃ সিরাজুল ইসলামের নাম মুছে ফেলার মত নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে।
সিরাজুল ইসলাম সরকারি বাকেরগঞ্জ কলেজের সাবেক এজিএস এবং ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তীতে কাউন্সিল বন্ধ হয়ে গেলেও নানা দুর্নীতির অভিযোগ উঠে এসেছে ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির কমিটি নিয়ে। এদিকে ১৩ নম্বর সদস্যের নাম হাতে মুছে ৮ নং ওয়ার্ডের ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে একই পরিবারের ভাইয়ের বউ, ভাইয়ের শশুর, ফুপাতো বোনসহ একাধিক সদস্য স্থান পেয়েছে।
এছাড়া আরো একাধিক পরিবারের সদস্য স্থান পেয়েছে এই কমিটিতে। মূলত কাউন্সিলে ভোট পাওয়ার জন্যই এমনটা করা হয়েছে বলে অভিযোগ বঞ্চিতদের। মোঃ সিরাজুল ইসলাম হাওলাদার বলেন- আমি দীর্ঘ ৪৮ বছর যাবত বিএনপির রাজনীতি করি।
এ সময়ের মধ্যে কখনো অন্য দলেও যাইনি। কাউন্সিলে নির্বাচনও করতে চেয়েছিলাম। হঠাৎ দেখি কমিটির তালিকা থেকে আমার নাম মুছে অন্য একজনের নাম হাতে লিখে বসানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমি আইনের দারস্ত হবো। দাড়িয়াল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও থানা বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ মিজানুর রহমান তিনি বলেন, যার নামটি মুছে ফেলা হয়েছে তিনি একজন সম্মানী ব্যক্তি তাকে ওয়ার্ড কমিটিতে নয় তাকে ইউনিয়ন কমিটিতে রাখা হবে।
প্রতিবেদকের প্রশ্নে যদি একই পরিবারের একাধিক সদস্য কমিটিতে থাকে সেটা আমার জানা নেই যদি থাকে তাহলে আমি দেখব। থানা বিএনপির সাবেক সদস্য এডভোকেট মজিবুর রহমান মোল্লা বলেন, রঙ্গশ্রী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ নেতাকর্মীরা মনে করছেন আসন্ন কাউন্সিলে নির্দিষ্ট প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্যই এটা করা হয়েছে। প্রমাণ হওয়া জালিয়াতির এই কমিটি দ্রুত বিলুপ্ত ঘোষনা করা হোক, নতুন ভাবে কমিটি করার অনুরোধ করেছেন সাধারণ নেতাকর্মীরা।
দলের হাই কমান্ড এসব বিষয় ব্যবস্থা না নিলে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে। তিনি আরও বলেন, কাউন্সিলর আগেই যদি এমন বেপরোয়া হয়ে ওঠে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীরা, তবে কাউন্সিলের পর এদের থেকে কি আশা করতে পারি ইউনিয়ন বিএনপি? এ বিষয়ে রংশ্রী ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক আনোয়ার মাওলানা বলেন- বিষয়টি নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে।
এমন কিছুই ঘটেনি। একটি পক্ষ এ নিয়ে কাজ করছে। দ্রুত উপজেলা বিএনপি এবং জেলা বিএনপি এই বিষয়ে জালিয়াতিতে যুক্তদের দ্রুত দল থেকে ব্যবস্থাতা করা হোক। সুষ্ঠু কাউন্সিলের ব্যাবস্থা করবে বলে নেতাকর্মীরা বিশ্বাস রাখে।