পটুয়াখালীর বাউফলে উর্মী ইসলাম (১৫) নামে এক কিশোরী হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। তদন্তে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বুধবার বাউফল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আরিফ মুহাম্মদ শাকুর বাউফল থানায় প্রেস ব্রিফ করে বিস্তারিত জানান এ হত্যারহস্য সম্পর্কে। জানা যায়, গত ২৩ আগস্ট সকালে উপজেলার কুম্ভখালী গ্রামে বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে একটি খাল থেকে উদ্ধার হয় কিশোরী উর্মী ইসলামের মরদেহ।
পরে তাকে খুনের অভিযোগে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের নামে থানায় মামলার আবেদন করেন তার বাবা নজরুল ইসলাম। অপরাধীদের শনাক্তে তদন্তে নামে পুলিশের একাধিক টিম। তদন্তের এক পর্যায়ে বেরিয়ে আসে, স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল উর্মির। এ নিয়ে গত ২২ আগস্ট দিবাগত রাত দেড়টার দিকে মা আমেনা বেগম (৪০), বাবা নজরুল ইসলাম (৪৫) ও ভগ্নিপতি কামাল হোসেনের (৩২) সঙ্গে তুমুল বাগ্বিতণ্ডা হয় তার।
এ তথ্যের ভিত্তিতে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করে উর্মীর মা-বাবা ও ভগ্নিপতি জানান, প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে ২২ আগস্ট ঘটা বাগ্বিতণ্ডার জেরে তারাই উর্মীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর মরদেহ গোপন করতে তারা উর্মীর মরদেহ কুম্ভখালী খালে ফেলে দেয় তারা।
বাউফল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আরিফ মুহাম্মদ শাকুর জানান, হত্যার অভিযোগে নিহত কিশোরীর বাবা, মা ও ভগ্নিপতিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। বুধবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দিয়েছেন আসামিরা।
প্রেস ব্রিফিংয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা , বাউফল থানার ওসি (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম ও স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।