নিউজ ডেস্ক : শুধুমাত্র সাবেক প্রধানমন্ত্রী স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার এলাকায় বাড়ি হওয়ার সুবাদে দীর্ঘ ১৫ বছর বরিশাল বিভাগীয় সমবায় অধিদপ্তরের উপনিবন্ধক হিসাবে কর্মরত রয়েছেন এই প্রভাবশালী কর্মকর্তা।
বরিশাল সমবায় ব্যাংকের জমি কোটি টাকা ঘুষের বিনিময়ে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে বরিশাল বিভাগীয় সমবায় অধিদপ্তরের উপনিবন্ধক মোহাম্মদ মোস্তফার বিরুদ্ধে।
ইতোমধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপক্ষে তার একাধিক পোস্ট ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ঐ কর্মকর্তাকে অন্যত্র বদলিসহ শাস্তির দাবীতে প্রধান উপদেষ্টা, সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও সচিবের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন বরিশাল বিভাগীয় ছাত্র সমন্বয় পরিষদের প্রভাবশালী দু’নেতাসহ সমবায় ব্যাংকের সাবেক সদস্যরা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তিনি দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে বরিশালে কর্মরত আছেন এবং এ সময়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অধীনস্থদের বদলির ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। সম্প্রতি বরিশাল বিভাগীয় ছাত্র সমন্বয় পরিষদের নেতৃবৃন্দসহ সমবায় ব্যাংকের সাবেক সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টা, সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও সচিবের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়, বরিশাল শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ঐতিহাসিক সমবায় ব্যাংকের সম্পত্তি নাজেমস বিরিয়ানীর মালিক ফরিদুর রহমান রেজার কাছে প্রায় ৯০ লাখ টাকার বিনিময়ে জাল কাগজপত্র তৈরি করে হস্তান্তর করা হয়।
বর্তমানে সেখানে তিনতলা আধুনিক রেস্টুরেন্ট গড়ে উঠেছে।
এ বিষয়ে সমবায় ব্যাংকের সাবেক পরিচালক হোসেন জোমাদ্দার বলেন, ‘আমরা লিখিত অভিযোগ করেও কোনো ব্যবস্থা পাইনি।’
অভিযোগ প্রসঙ্গে উপনিবন্ধক মোহাম্মদ মোস্তফা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, তৎকালীন বরিশাল সিটি মেয়র সাদেক আব্দুল্লাহ চাপে রেজাকে ভবন নির্মাণের বাধ্য করেছিলেন। স্বৈরশাসক আওয়ামীলীগ এখন ক্ষমতা নেই তবে কেন সমবায় ব্যাংকের সম্পত্তি ফিরিয়ে আনছেন না? তখন তিনি ফোন কেটে দেন এবং সাংবাদিকদের ফোন রিসিভ করেননি।
নাজেমস বিরিয়ানীর মালিক ফরিদুর রহমান রেজা বলেন, ‘আমি ভাড়ার চুক্তিতে লক্ষাধিক টাকা জামানত দিয়ে ভবন নির্মাণ করেছি এবং প্রতি মাসে ভাড়া পরিশোধ করি।’
এদিকে বরিশালের সর্বস্তরের মানুষ অভিযোগ করেছেন, সমবায় ব্যাংকের ঐতিহাসিক সম্পত্তি দখল করে রাখা হয়েছে, যা ফিরিয়ে আনার দাবি জোরদার হয়েছে।