More

    আগৈলঝাড়ায় প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ইউপি সদস্য লিটুর বিরুদ্ধে

    অবশ্যই পরুন

    স্টাফ রিপোর্টারঃ বরিশালের আগৈলঝাড়ায় প্রকল্পের কাজ করলেন সাধারন সম্পাদক, টাকা উত্তোলন করে নিলেন প্রকল্পের সভাপতি উপজেলা যুবলীগ সদস্য ও ইউপি সদস্য মাসুদ লিটু। ইউপি সদস্যকে এই কাজে সহযোগীতা করেছেন ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মনিরুল ইসলাম ইসমাইল।

    বিল উত্তোলনের সময় প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির কোন সদস্যকেই ইউপি সদস্য মাসুদ লিট জানায়নি। ওই প্রকল্পের সাধারন সম্পাদক মোস্তফা কামাল খোকন বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েছে করেছেন। ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা সরদার এঘটনা নিয়ে একাধিকবার শালীস—বৈঠকে বসলেও কোন সমাধান হয়নি। উল্টো প্রকল্পের সদস্যদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে টাকা উত্তোলনকারীর সহযোগীরা।

    লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪—২০২৫ অর্থবছরে উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস থেকে রত্নপুর ইউনিয়নের মিশ্রীপাড়া বাজারের সেলিম এর দোকান হইতে খাল পর্যন্ত ইটের সোলিংকরণ ও এর সামনে থেকে খালে ঘাটলা নির্মান, রত্নপুর শওকত আলী হুজুর এর মাদ্রাসা থেকে পশ্চিম দিকে শেখ ফরিদের বাড়ী পর্যন্ত রাস্তা মেরামত এবং উত্তর রত্নপুর মেরাজ হাওলাদারের ঘর হইতে উত্তর দিকে মোতালেব মাষ্টারের বাড়ি পর্যন্ত ইট সোলিং করনের জন্য ৩টি প্রকল্পে ৫ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।

    ওই কাজের সরকারী নিয়ম অনুযায়ী স্থানীয় ইউপি সদস্য মাসুদ ইসলাম লিটুকে সভাপতি ও ইউনিয়ন যুবদল নেতা গোলাম মোস্তফা সরদারকে সাধারন সম্পাদক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হয়। প্রকল্পের সাধারন সম্পাদক মোস্তফা কামাল খোকন নিজের টাকা ব্যয় করে প্রকল্পের কাজ শেষ করেন।

    সভাপতি কখনও কাজ দেখতেও যায়নি। কাজ শেষে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যদের না জানিয়ে ওই তিনটি প্রকল্পের ৫ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা ইউপি ও যুবলীগ সদস্য মাসুদ লিটুর সহযোগীতায় ইউনিয়ন বিএনপি’র নেতা মনিরুল ইসলাম ইসমাইল উত্তোলন করে নিয়ে যায়।

    তাদের এই কাজে সহযোগীতা করেন উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের কর্মচারীরা। এনিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সেক্রেটারী তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারিহা তানজিনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও সে অজ্ঞাত কারনে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। পরে ওই প্রকল্পের সেক্রেটারী মোস্তফা কামাল খোকন বাদী হয়ে আগৈলঝাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

    এঘটনায় প্রকল্পের সভাপতি ও ইউপি সদস্য মাসুদ লিটু বলেন, প্রকল্পের প্রথম কিস্তির টাকা নিয়ে কোন সমস্যা হয়নি। শেষ কিস্তির টাকা উত্তোলন করে নিয়ে যায় ইউনিয়ন বিএনপি’র নেতা মনিরুল ইসলাম। সে কাউকে কোন টাকা দেয়নি বলে সমস্যা হয়েছে। এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মো. গোলাম মোস্তফা সরদার, ওই তিনটি প্রকল্পের প্রথম কিস্তির টাকা ইউপি সদস্য উত্তোলন করে আমার কাছে দিয়েছিলো।

    পরে আমি তাদের টাকা দিয়েছি। শেষে কিস্তির টাকা ইউপি সদস্য উত্তোলন করে কাকে দিয়েছে আমি কিছুই জানিনা। রত্নপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সদস্য মনিরুল ইসলাম ইসমাইল বলেন, এই কাজের সাথে আমি জড়িত নেই।

    আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। এব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা অয়ন সাহা বলেন, বিল দেওয়ার সময় আমি ছিলাম না। তাই আমি জেনে—শুনে বক্তব্য দিব। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিখন বনিক বলেন, এই কাজ আমার সময় নয়। তাই এব্যাপারে আমি কিছুই বলতে পারবো না।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    বরিশালে আবাসিক হোটেল পপুলার থেকে ১৬ নারী-পুরুষ আটক

    বরিশাল নগরীর পোর্ট রোড এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে ১৬ নারী-পুরুষকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে নগর‌ীর পোর্ট...