পটুয়াখালী প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় শিক্ষা উপকরণ সরবারহের নামে ১৭২টি স্কুল থেকে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা গায়েব করার অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে শিক্ষকদের মাঝে চাপা ক্ষোভ থাকলেও হেনস্থার ভয়ে মুখ খুলতে রাজি নয় তারা। শিক্ষকরা নিজেদের প্রয়োজনে টাকা তুলে শিক্ষা উপকরন সংগ্রহ করেছে এমন দাবী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের।
কলাপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হিসাবে শাহিদা বেগম যোগদানের পর উপজেলার ১৭১টি সরকারি ও ১টি শিশুপল্লী সহ মোট ১৭২টি বিদ্যালয় থেকে থেকে ৪ হাজার টাকা করে মোট ৬ লক্ষ ৮৮ টাকা উত্তোলন করেন। শিক্ষা উপকরণ সরবরাহের নামে এই টাকা উত্তোলন করেন তিনি। এর বিপরীতে প্রতিটি বিদ্যালয়ে ক্যালেন্ডার সদৃশ কিছু পোস্টার প্রদান করা হয়।
বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট অনেক শিক্ষক জানানা, প্রদানকৃত শিক্ষা উপকরণের অনুমানিক সর্বোচ্চ বাজার মুল্য ২ হাজার টাকা হতে পারে। এতে মোট ব্যয় হয়েছে ৩ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা। বাকী ৩ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা গায়েব করা হয়েছে। তারা আরো জানান, স্লিপ মানি থেকে এই ৪ হাজার টাকা দিতে বাধ্য করা হয় প্রতিটি প্রতিষ্ঠান প্রধানকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন প্রধান শিক্ষক জানান, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ১৫ জন প্রধান শিক্ষক প্রতিনিধির মাধ্যমে ৪ হাজার টাকা করে উত্তোলন করেন। নিজের মনোনীত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষা উপকরন সরবারহ করেন।
টাকা উত্তোলকারী শিক্ষক প্রতিনিধি চম্পাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা বাবুল বলেন, স্লিপ মানি থেকে বিষয় ভিত্তিক শিক্ষা উপকরন ক্রয় করার নির্দেশনা প্রদান করেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করে শিক্ষা উপকরন আমরা সংগ্রহ ও প্রতিষ্ঠানে বিতরন করি। আইয়ুমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মজিবুর রহমান বলেন, এনিয়ে কারো অভিযোগ থাকতেই পারে।
নিজেদের প্রয়োজনেই শিক্ষা উপকরন সংগ্রহ করা হয়েছে। ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান এই শিক্ষা উপকরন সরবারহ করেছে। চর নিশানবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাবুদ্দিন একই বক্তব্য তুলে ধরেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শাহিদা বলেন, শিক্ষকরা নিজ উদ্যোগে শিক্ষা উপকরন সংগ্রহ করেছে। এখানে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই।