More

    বরিশালে থেকেও মাদারীপুরের মারামারি মামলার আসামী বৃদ্ধ নারীসহ ২

    অবশ্যই পরুন

    বরিশালে থেকেও মাদারীপুরের মারামারি মামলার আসামী হলেন রাবেয়া খানম ও জেলেফা বেগম। ঘটনার সময়ের সাথে ও এজাহারে বর্নিত অভিযুক্তদের বিবরনীতে মিল না থাকার পরেও ৩ ও ৪ নম্বর আসামী হয়ে অসহায় জীবনযাপন করছেন তারা। ঘটনাটি মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার ক্রকিরচর এলাকার।

    মামলার বিবরনে জানা গেছে, ১২১ নং দক্ষিণ-ক্রকিরচর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে দ্বন্ধ ও আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। এই সময়ের মধ্যেই তুচ্ছ ঘটনার সৃস্টি করে নতুন ভাবে আইনী জটিলতার সৃস্টি করেছে স্কুলটির প্রধান শিক্ষিকা বলে অভিযোগ এজাহারে অভিযোগের ঘরে নাম থাকা রাবেয়া খানম।

    এজাহার সূত্রে জানাগেছে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর সকাল পৌনে ৯ টার সময় স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে পরিস্কার করার সময় এজাহার নামীয়রা তার (শিক্ষিকার) উপর হামলা করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হয় এবং তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেলে ভর্তি হতে হয়েছে। সে কারণে ঘটনা স্থালে না থাকা ব্যাক্তিদেরকেও তিনি মামলায় অন্তভুক্ত করেন। এদিকে ঘটনার সময়ে মামলার ৩ ও ৪ নং বিবাদী বরিশালে অবস্থান করেন।

    এবং ঘটনাটি জানতে পারে ৯৯৯ এর মাধ্যমে ফোন করে ঘটনাস্থলে কালকিনি থানার পুলিশ পাঠায়। কিন্তু পুলিশে সংবাদ দাতাই হলেন আসামি। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে। এ বিষয় কালকিনি থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ নুরুল আমিন বেপারীর মুঠোফোনে বলেন, স্কুল শিক্ষিকার অভিযোগে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে বিষয়টি তদন্ত চলছে তাই তদন্ত করে মুল ঘটনা উদঘাটিত হবে।

    অপরাধ না করলে চার্জ্যসীট থেকে অবশ্যই বাদ পড়বে। অভিযোগে মামলার বাদী উল্লেখ করেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দিয়ে আঙ্গিনা পরিস্কার করতে যায়। ঠিক তথন এই ঘটনার সৃস্টি। তাহলে ক্লাস টাইম বাদ দিয়ে কিসের ক্ষমতা বলে পৌনে ৯ টায় ওই শিক্ষার্থীদের নিয়ে ময়লা পরিস্কার করালো শিক্ষিকা শাহানারা বেগম। মুলত কারণ হিসেবে দেখা গেছে, বিরোধী জমিতে স্থাপিত ওই স্কুলের সভাপতি এস্কান্দার আলী। তার বোন স্কুলের এই প্রধান শিক্ষিকা শাহানারা বেগম।

    যেহেতু অল্প সময়ের মধ্যেই মামলার সুরুহা হবে তাই চলমান ভুমির মামলাটি নতুন মোড় নেবার জন্যই এই নাটকের সৃস্টি। তথ্য বলছে, ইসকান্দার আলী আরেকজনের জমিতে স্কুল বসিয়ে স্কুলের জমি তার বাবার নামে রেকর্ড করে চাষ করে খাচ্ছে এবং রেকর্ড দিছে এক জায়গায় স্কুল বসাইছে আরেক জনের রেকর্ডের জমিতে। ২০১৮ সাল থেকে এই বিষয়ে মামলা চলছে।

    ২০১৮ সাল থেকে এই পর্যন্ত আসামী পক্ষ বহুবার হয়রানির শিকার হয়েছে যার ভিডিও প্রমানাদি এই প্রতিবেদকের কাছে রয়েছে। দলিলে এজাহার নামীয়দের জমি থাকা সত্ত্বেও ভোগ দখলে কখনো সৈরাচার সরকারের সময়ের লোকজন আবার কখনো বর্তমান সময়ের অঘোষিত ক্ষমতাবানদের দিয়ে অসহায় ওই পরিবারটিকে নির্যাতন করে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে- বিরোধী জমিতে বর্তমানে গভীর নলকুল স্থাপনের জন্য পায়তারা চালাচ্ছে এই চক্রটি।

    এ কারনেই মুলত জটিলতার সৃস্টি হয়েছে। যা দক্ষ আইনী কর্মকর্তার মাধ্যমে নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে বেরিয়ে আসবে। এ বিষয়টি নিয়ে একাধীকবার আইনের দরজায় যেতে চাইলেও বিবাদীদেওে মামলা করতে স্থানীয় চেয়ারম্যান নিষেধ করে। কিন্তু সেই চেয়ারম্যান সাহেবও নিরুপায়। ফলে ক্ষমতার গোলে এগিয়ে প্রধান শিক্ষকের পরিবারটি। তথ্য আছে, চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বেশ কয়েকবার সালিশি হয় কিন্তু শেষ পর্যন্ত চেয়ারম্যানকেও তারা অমান্য করে। তাই চেয়ারম্যান কোন সঠিক বিচার দিতে পারেনি। এই ইস্কান্দার আলী নিজেকে ক্ষমতাধর একজন ব্যক্তি মনে করে।

    এ কারনেই বর্তমানে বিরোধীরা বাড়ি ছেড়ে অনত্র সরে রয়েছে। ভয়ে আছে মৃত্যু হলে কবরের স্থানটুকো পাবে কিনা? এ বিষয় রাবেয়া খানম ও জেলেফা বেগম তীব্র ক্ষোভ নিয়ে অভিযোগ করে বলেন, আমরা বাড়ি ঘরে না থাকা সত্ত্বেও আমাদের ঘর ভেঙে লুটপাট করেছে কয়েকবার। জমি বাড়ি দখল থাকা সত্ত্বেও আমরা সেখানে থাকতে পারতেছি না। প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। বরং তাদের জায়গা দখল করার উদ্দেশ্যে পূর্বপরিকল্পিতভাবে লোকজন নিয়ে আসে।

    তখন জমির মালিক পক্ষ বেলাল হোসেন বাধা দেয়ায় ইস্কান্দার আলীর ভাড়াটে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে তাদের ও সন্তানসহ ১১ মাসের বাচ্চাকে কুপিয়ে জখম করে ঘর বন্দী করে রাখে। এরপর পুলিশের সহায়তায় তারা মুক্তি পায়। তিনি আরো বলেন, ঘটনার বিবরন জানিয়ে ইতি মধ্যে, পুলিশের আইজি, বিচার বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রানালয় ও রাজনৈতিক উচ্চ মহলে অভিযোগ দায়ের করা হবে।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    প্রতিনিয়ত যাত্রীদের হেনস্তা করছে চরাকউয়ার বাস শ্রমিকরা

    বরিশাল চরকাউয়া স্ট্যান্ডের বাস শ্রমিকের বিরুদ্ধে এক যাত্রীকে আবারো মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এর আগে এমন অসংখ্য হামলার ঘটনা ঘটলেও...