হিন্দু শাস্ত্রের মতে ষষ্ঠী তিথিতে ( বেলতলা পূজার) মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে হিন্দু ধর্মের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।
আর এই ষষ্ঠী পূজা মাধ্যমে দেবী আরাধনার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। মহালয়ার পরে ষষ্ঠী তিথিতে দেবীর আগমন হয়, এবং তখন থেকেই হিন্দুদের দুর্গাপূজার উৎসব শুরু হয়। আর সেই দিন যে পুজা দেয় তাকে বেলতলার পুজা নামে অভিহিত করা হয়। দুর্গাপূজা সাধারণত আশ্বিন মাসের শুক্লা তিথিতে অনুষ্ঠিত হয় এবং ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত এর সময়কাল থাকে।
এটি হিন্দু ধর্মের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব। উৎসবের মাতোয়ারায় মেতে ওঠে গোটা বাঙালি হিন্দু সমাজ। দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে চলে মন্দিরে মন্দিরে দেবী দুর্গার আরাধনা। পুজা উপলক্ষে এক মিলন মেলার উৎসবে সেজেছে বাকেরগঞ্জ পৌর এলাকা । হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিটি পরিবার যাহাতে নির্বিঘ্নে তাহাদের উৎসবে শামিল হতে পারে সেজন্য উপজেলা প্রশাসন থেকে দেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা, রয়েছে সিসি টিভি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সরব উপস্থিতি।
উপজেলা পুজা উৎযাপন কমিটির সভাপতি বাবু শংকর শীল জানান, এবার উপজেলায় মোট ৭৭ টি পুজা মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজার আয়োজন করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আফরোজ জানান, প্রতিটি পুজা মণ্ডপের সার্বিক নিরাপত্তা বিধানে প্রশাসন সদা তৎপর আছে।
বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, উপজেলার সবকটি পুজা মন্দিরের নিরাপত্তার ব্যাপারে থানা পুলিশ সজাগ দৃষ্টি রাখছে। তিনি আশাবাদী আনন্দের সহিত নিরাপদেই উৎযাপিত হবে এ দূর্গা উৎসব। প্রতিটি পুজা মণ্ডপে পুলিশের ১ জন এস আই ও ২ জন কনস্টেবল এবং ৬ জন আনসার সদস্য সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে।
বাকেরগঞ্জ বন্দরের কেন্দ্রীয় মন্দিরের সভাপতি বাবু বরুণ কুমার সাহা ও সাধারণ সম্পাদক বাবু আশিষ দেবনাথ বলেন, সকলের আশির্বাদে প্রতি বছরের ন্যায় এবারের দুর্গা উৎসবও আনন্দ উদ্দীপনা নিয়া পালিত হবে।