পর্যটন নগরী কুয়াকাটায় সড়কের পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সেখানে গাছ লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছে পৌরসভা ও বন বিভাগ। পরিবেশ সংরক্ষণ ও শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই যৌথ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
পরিবেশ রক্ষায় নেওয়া এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন পরিবেশবাদীরা। সম্প্রতি গত কয়েক দিনে শহরের প্রধান সড়ক ঘেষে গড়ে ওঠা বেশ কিছু ভ্রাম্যমাণ ও অস্থায়ী দোকান-পাট উচ্ছেদ করা হয়। এরপর সেইসব স্থানে বিভিন্ন প্রজাতির ছায়াদানকারী ও শোভাময় গাছ রোপণ করা হয়। যা চলমান থাকবে বলেও জানান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। উপকূল পরিবেশ আন্দোলন (উপরা) সভাপতি কেএম বাচ্চু বলেন, শহরের সৌন্দর্যবর্ধন ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় এই ধরনের উদ্যোগ অত্যন্ত ইতিবাচক। এভাবে সবুজায়ন চালিয়ে যাওয়া গেলে কুয়াকাটার পরিবেশ ও পর্যটনের মান আরও উন্নত হবে।
তবে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কাওছার নামের ভ্রাম্যমাণ এক বিক্রেতা বলেন, আমরা এখানে অনেক বছর ধরে ব্যবসা করছি। হঠাৎ করে উচ্ছেদ হওয়ায় পরিবার নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছি। তবে যদি বিকল্প ব্যবস্থা রাখা হতো, তাহলে বিষয়টি সহজ হতো। আমাদের জোর দাবি সরকারিভাবে আমাদের একটা ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক। আমরা গরিব মানুষ।
আমাদের পুঁজি কম, তাই লাখ লাখ টাকা কাটিয়ে ব্যবসা করা সম্ভব না। বাংলাদেশ বন বিভাগের মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা মনির খান বলেন, কুয়াকাটা একটি জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র। অবৈধ স্থাপনা ও অপরিকল্পিত উন্নয়ন দীর্ঘদিন ধরে এলাকাটির পরিবেশ ও সৌন্দর্যকে ব্যাহত করছিল। নতুন এই উদ্যোগে সবুজায়নের পাশাপাশি সড়কপথের সৌন্দর্যও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও কুয়াকাটা পৌরসভার পৌর প্রশাসক ইয়াছিন সাদেক বলেন, একটি পর্যটন নগরীর জিরো পয়েন্টসহ মহাসড়কের আশপাশে এমন বিশৃঙ্খল পরিবেশ কোনোভাবেই কাম্য নয়। মূলত পৌর শহরের শৃঙ্খলা ও পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের বিষয়টিও আমরা বিবেচনায় নিচ্ছি।