More

    তেল, ডিমের দাম বাড়তি; সবজিতেও স্বস্তি নেই

    অবশ্যই পরুন

    বরিশালের বাজারে ভোজ্য তেল সয়াবিন ও পামঅয়েলের দাম বেড়েছে। এছাড়া গত এক সপ্তাহ ধরে ডিমের দাম বাড়তি। মাঝে সবজির দর কিছুটা কমলেও আবার দাম বেড়েছে। সব মিলিয়ে স্বস্তি নেই নিত্যপণ্যের বাজারে।

    সয়াবিন, পামঅয়েলের দাম বাড়ার বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এখনো অনুমোদন না দিলেও গতকাল খুচরাবাজারে তা লিটারে দুই টাকা বেড়েছে। প্রতি পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিনে ১০ টাকা বেড়ে ৯১০ থেকে ৯৩০ টাকা ও এক লিটারের বোতলজাত সয়াবিনে দুই টাকা বেড়ে ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

    এছাড়া, প্রতি লিটার পামঅয়েলে দুই টাকা বেড়ে ১৫৫ থেকে ১৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) গতকাল তাদের বাজারদরের প্রতিবেদনে সয়াবিন ও পামঅয়েলের দাম বাড়ার বিষয়টি জানিয়েছে। এদিকে আগের বাড়তি দরেই বিক্রি হচ্ছে ডিম। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি ডজন ফার্মের ডিম ৮ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলেছেন, বর্তমানে সবজি ও মাছের দাম বেশি হওয়ায় ডিমের চাহিদা বেড়েছে।

    এ কারণে ডিমের দাম বাড়তি। বর্তমানে ফার্মের প্রতি ডজন বাদামি রঙের ডিম ১৪৮ থেকে ১৫০ টাকা ও সাদা রঙের ডিম ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা এক সপ্তাহ আগে যথাক্রমে ১৪০ ও ১৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে ডিমের দাম বাড়লেও ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম বাড়েনি। আগের দরেই প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা ও সোনালি মুরগি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

    ডিমের দাম বাড়তি প্রসঙ্গে রাজধানীর তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আমানত উল্লাহ ইত্তেফাককে বলেন, বৃষ্টির কারণে সবজির দাম বেশি হওয়ায় ডিমের চাহিদা বেড়েছে। তাই ডিমের দাম কিছুটা বাড়তি।

    আমানত উল্লাহ বলেন, সামনে বাজারে সবজির সরবরাহ বাড়লে ডিমের দাম কমবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক খামারি জানিয়েছেন, তারা নিজেরা ডিম উত্পাদন করলেও তার দর নির্ধারণে তাদের কোনো ভূমিকা নেই।

    এতে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

    সবজিতে স্বস্তি নেই

    বাজারে সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম কমেনি। উলটো সপ্তাহের ব্যবধানে কোনো কোনো সবজির দাম বেড়েছে। গতকাল বাজারে প্রতি কেজি পটোল ৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে, যা গত সপ্তাহে ৬০ টাকা কেজি ছিল। অন্যান্য সবজির দামেও চড়াভাব রয়েছে।

    বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন ধরনের সবজির মধ্যে প্রতি কেজি বেগুন ১০০ থেকে ১৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ থেকে ৯০ টাকা, বরবটি, ঢ্যাঁড়শ ৭০ থেকে ৮০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, মুলা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঝিঙে, চিচিঙ্গা, ধুন্দুল ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে সবজির এই দাম মানভেদে কমবেশি হয়ে থাকে। সবজির মধ্যে সবচেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে আলু।

    প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২২ টাকায়। বাজারে শীত মৌসুমের শিম, ফুলকপি ও বাঁধাকপি উঠেছে। তবে দাম বেশ চড়া। প্রতি কেজি শিম ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, ছোট আকারের একটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৫০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। সবজির পাশাপাশি বাজারে মাছের দামও চড়া। চাষের মাছের দামে কিছুটা স্বস্তি থাকলেও নদীর মাছ চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।

    গতকাল বাজারে বিভিন্ন ধরনের মাছের মধ্যে প্রতিকেজি বোয়াল আকারভেদে ৫০০ থেকে ৮৫০ টাকা, কোরাল ৬৫০ থেকে ৯০০ টাকা, আইড় ৫৫০ থেকে ৭৫০ টাকা, চাষের রুই, কাতল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২২০ টাকা, পাঙাশ ২০০ টাকা, ট্যাংরা ৬০০ থেকে ৭৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, শিং ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৬৫০ থেকে ৯০০ টাকা, শোল ৫৫০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    জিয়ানগরে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত

    পিরোজপুর প্রতিনিধি: পিরোজপুরের জিয়ানগরের ভবানীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট- ২০২৫ এর ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত...