আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধিঃ ২১ নভেম্বর ভূমিকম্পে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ৯৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ২২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
এরমধ্যে ৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ বিদ্যালয়গুলোর তালিকা তৈরী করে সংস্কারের জন্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানান উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আমজাদ হোসেন। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২১ নভেম্বর ভূমিকম্পে সারা দেশের ন্যায় বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এরমধ্যে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে সরকারী ৯৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ২২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
এরমধ্যে অশোকসেন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, গৈলা নোনাপুকুরপাড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, তালতার মাঠ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিন বাগধা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভূমিকম্পে ভীম, মেঝে, ওয়াল ও ছাদে ফাটল দেখা দিয়েছে। এসকল বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা আতংকে থাকেন কখন কি হয়ে যায়। এছাড়াও উপজেলার আমবৌলা, পয়সা, নগরবাড়ি, পাকুরিতা, পশ্চিম মোল্লাপাড়া, পশ্চিম সুজনকাঠী, উত্তর বারপাইকা, বারপাইকা হাই সংলগ্ন, জোবারপাড়, সাহেবেরহাট, চাউকাঠী, ভালুকশী, রামানন্দেরঅঁাক, দর্জিরপাড়, বড়বাশাইল, রাজিহার, আগৈলঝাড়া মডেল, জবসেন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
এসকল বিদ্যালয়ের পিলার, ছাদ ও মেঝে ফাটল দেখা দিয়েছে। বিদ্যালয়গুলোতে কোমলমতি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা ক্লাস করার সময় আতংকিত থাকেন। কখন গায়ে ভীম বা ছাদ ধ্বসে পরে। অভিভাবকরা তাদের ছেলে—মেয়েদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে চিন্তায় থাকেন কখন কি হয়ে যায়। শিক্ষার্থী অভিভাবক হালিম সরদার জানান, শুনেছি ভূমিকম্পে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। বিদ্যালয়ে ছেলে পাঠিয়ে চিন্তায় থাকি কখন কি হয়ে যায়।
এব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্থ আগৈলঝাড়া মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমার বিদ্যালয় ভূমিকম্পে ভবনের ছাদ, ওয়াল ও ভীমে ফাটল দেখা দিয়েছে। আমি তাৎক্ষনিকভাবে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। তারা দেখে সংস্কারের জন্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছে।
এব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আমজাদ হেসেন জানান, ভূমিকম্পে উপজেলার ৯৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ২২টি বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এরমধ্যে চারটি বিদ্যালয় বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ বিদ্যালয়গুলোর তালিকা তৈরী করে সংস্কারের জন্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
