কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের নামকরণে স্বত্ববিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটের বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি মামলা খারিজ করে দিয়েছে পুনের আদালত। স্যানিটাইজার ও পিপিই প্রস্তুতকারী কোম্পানি কিউটিস বায়োটেকের পক্ষ থেকে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের নামের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। শনিবার (৩০ জানুয়ারি) নিম্ন আদালতের বিচারপতি সে আবেদন নাকচ করে দেন। কিউটিস বায়োটেক জানিয়েছে, মামলাটি নিয়ে এবার তারা উচ্চ আদালতে যাবে।
বর্তমানে ভারতে কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন দু’টি কোভিড ভ্যাকসিন প্রয়োগের অনুমোদন রয়েছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে যুক্ত হয়ে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। আর সেখানেই আপত্তি কিউটিস বায়োটেকের। তাদের দাবি, কোভিশিল্ড নামের ট্রেডমার্ক পেতে গত বছর ২৯ এপ্রিল আবেদন জানিয়েছিল তারা। সেই প্রক্রিয়া এখনও সম্পন্ন হয়নি। তবে গত বছর থেকে কোভিশিল্ড নামে বিভিন্ন ধরনের জীবাণুনাশক স্প্রে, স্যানিটাইজ়ার ও ফল জীবাণুমুক্ত করার রাসায়নিক বিক্রি করছে তারা। এমন অবস্থায় সেরাম যেন তাদের কোভিশিল্ড নামটি ব্যবহার না করে তার জন্য স্থগিতাদেশ চেয়ে গত ৪ জানুয়ারি পুনের আদালতে মামলা করে কোম্পানিটি।
আদালতে নিজেদের অবস্থানের পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে সেরাম বলেছে, যে দুইটি কোম্পানি ভিন্ন ভিন্ন পণ্যের বিভাগ পরিচালনা করে এবং নামের স্বত্ব বা ট্রেডমার্ক নিয়ে কোনও ধন্দ তৈরি হওয়ার কোনও জায়গা নেই। আইনজীবী হিতেশ জৈন জানিয়েছেন যে বিচারক এভি রোটে কিউটিস–বায়োটেকের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন।
এদিকে সেরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়ালা শনিবার জানিয়েছেন তার কোম্পানি আরও একটি কোভিড–১৯ ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু করবে খুব শিগগিরই। নোভাভ্যাক্সের তৈরি এ ভ্যাকসিনটি ২০২১ সালের জুন মাসের মধ্যে বাজারে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।