বাংলাদেশের ভিতর আরেকটা দেশ তার নাম গৌরনদী,আগৈলঝাড়া,সারা বাংলাদেশ ৭১ এ স্বাধিন হলেও নাকি এখানে স্বাধিন হয়েছিল অনেক পরে।
ইতিহাস ঐতিহ্যে ভরা গৌরনদী,আগৈলঝাড়া কিন্তু রাজনৈতিক চরিত্র একেবারেই দুর্বল।
সারা বাংলাদেশে সকল উপজেলায় বি,এন,পি কেন্দ্র ঘোষিত অবস্থান কর্মসুচী পালন করা কিংবা চেষ্টা হলেও এ অঞ্চলে তার কিছুই করা হয় নাই।
সরকারী নেতার প্রভাব আর দখলদারিত্বের কাছে বিরোধী দলের চার নেতার অহমিকা গ্রুপিং তাদের শক্তিশালি করতে সহযোগিতা করেছে।পক্ষান্তরে বি,এন,পির নেতাদের অহমিকা আর গ্রুপিং এ নিজ দলের ভীতর শত্রুতার চরম শিখরে পৌছে গেছে।
এখন আওয়ামিলীগের আতংকের চেয়ে নিজেদের ভিতর নিজেদের আতংক অনেক বেশী।দীর্ঘ্য পনেরো বছরে আওয়ামিলীগের নির্যাতনে নেতা কর্মিরা এলাকা ছাড়া হলেও গ্রুপিং এর কারনে ঈদ কোরবানিতেও এমনকি বাবা মা প্রিয়জনের মৃত্যুর খবরে জানাজায় অংশগ্রহন করতেও ভয় পায়। তাই রাতের অন্ধকারে আওয়ামিলীগের চোখ ফাকি দিয়ে অনেকেই এলাকায় হয়ত প্রবেশ করে।
তৃণমূল যারা শত নির্যাতনের মধ্যেও কোন না কোন ভাবে টিকে আছে,তাদের মধ্য থেকে এমন উক্তিও শুনতে পাওয়া যায় যে আওয়ামিলীগ যদি এক সপ্তাহের জন্য গৌরনদী,আগৈলঝাড়ার রাজনীতি থেকে ছুটি নিয়ে বি,এন,পিকে মাঠ ছেড়ে দেয় তা হলে নিজেদের ভিতর যে গ্রুপিং এর জন্য রক্তপাত হবে তা আওয়ামিলীগের হামলার চেয়ে ভয়াবহ।
আওয়ামিলীগের হামলা বি,এন,পির জন্য আশির্বাদ কারন আওয়ামিলীগ সন্ত্রাশের মাধ্যমে বি,এন,পিকে একজায়গাতে জর হবার সুজোগ দেয় না আর তার কারনে বি,এন,পি দূরে থেকে নিজেদের মধ্যে এ হানা হানি করার সুযোগ নিতে পারে না।
এহেন অবস্থায় গৌরনদী,আগৈলঝাড়ার বি,এন,পির আট তারিখের কেন্দ্র ঘোষিত প্রগ্রামকে বরিশাল রজনিগন্ধা মিলনায়তনে ইফতার মিলাদ দোয়া ও আলোচনা অনুষ্ঠানে রুপান্তরিত করে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
অবশ্য এই ইফতার মিলাদ অনুষ্ঠান ৯/০৪/২৩ তারিখ হবার কথা ছিল।
রাজনৈতিক কৌশলগত কারন গ্রুপিং এ একজন আরেকজনকে ল্যাংমারা দেয়ার কৌশল হিসাবে ৯/০৪/২৩ তারিখ না করে গৌরনদী,
আগৈলঝাড়া হামলা মামলার অজুহাতে অবস্থান কর্মসুচী না করে বরিশাল দোয়া মাফিলের অনুষ্ঠান করেন।
এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসনে মিডিয়াসেলের আহবায়ক জনাব জহির উদ্দিন স্বপনকে স্থান দিলেও বাকি আর তিন নেতাদের অনুষ্ঠানে দেখা যায় নাই।
তাদের সাথে খোজ নিয়ে জানা গেছে আট তারিখে কেন্দ্র ঘোষিত প্রগ্রামে বর্তমান কমিটি এবং নেতা কর্মির সাথে সমন্বয় করে সফল করার প্রস্তাবে কারো কারো সাথে আলোচনা হলেও বরিশালের প্রোগ্রামের কারনে তা ব্যাহত হয়েছে।
এই ইফতার মিলাদ অনুষ্ঠানে গৌরনদী,আগৈলঝাড়ার উল্লেখযোগ্য কোন ত্যাগি নেতাদের উপস্থিতিছিল না,বরং নুতন সদ্য ঘোষিত বিতর্কিত কমিটির অনেককে দাওয়াত করা হয় নাই আর এতে করে সেখানেও বড় ভাইদের ইগোর গ্রুপিং এর প্রাধান্য পেয়েছে।
এই ইফতার মাফিলে সদ্য বিতর্কিত দায়িত্ব প্রাপ্ত কমিটির লোকের এহেন আচরনে গৌরনদী আগৈলঝাড়া বি,এন,পির লোকজন ক্ষুদ্ধ।
জনাব জহির উদ্দিন স্বপন তার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে উপস্থিতি সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে গৌরনদী আগৈলঝাড়ার মাটিতে বি,এন,পির রাজনীতির অসহায়ত্বের কথা বর্ননা করে নেতা কর্মিদের এলাকায় গেরিলা ষ্টাইলে সংগঠনের কাজ করা আর বরিশাল মহানগরীর সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে মত প্রকাশ করার নির্দেশ দেন।
গৌরনদী আগৈলঝাড়ার সদ্য ঘোষিত বিতর্কিত কমিটির নেতা কর্মিদের বরিশাল মহানগরীর নেতা এডভোকেট জাহিদ কবির ও মনিরুজ্জামান খান ফারুক এর হাতে তুলে দেন।
থানা,পৌরসভা কমিটির দায়িত্ব থাকে জেলা কমিটির সে ক্ষেত্রে তাদের দায়িত্ব মহানগরের কাছে দেয়ায় অনেকের মনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। হয়ত জেলা কমিটির প্রতি আস্তা হারিয়ে ফেলার কারনে গৌরনদীর নির্জাতিত নেতা কর্মিদের সেইভে নিয়ে জেলা কমিটির দায়িত্ব ভার হালকা করে দিলেন।
আবার অনেকে মনে করেন তদন্ত রিপোর্ট (এর গুঞ্জনে) থানা জেলা কমিটির পুনর্গঠনের ইংগিত বহন করে।
কমিটির পুনর্গঠন হোক কিংবা জেলা কমিটির পরিবর্তন হোক সেটা বড় কথা নয় তার চেয়ে ঐক্যের ভিত্তিতে ইগো বহির্ভুত বি,এন,পি হোক সেটাই তৃণমূল চায়