বরিশালের আগৈলঝাড়ায় জায়গার বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় মনসা মন্দির, বসত ঘর, আসবাবপত্র ভাংচুরসহ পিতা ও স্কুলছাত্রী মেয়েকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আহতের পরিবার জরুরি সেবা ৯৯৯ নং এ ফোন দিলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের অশোকসেন গ্রামের ওয়াপদা সড়কের পাশের তালতা মৌজায় ৬২৪ নং খতিয়ানের এসএ ১০৬ ও ১০৭ নং দাগ থেকে সুচিত্রা রানীর পৈত্রিক ও ছেলে কৃষ্ণ বেপারীর (মামা বাড়ির সম্পত্তি) থেকে ১২ শতাংশ জায়গা ১৯৯৯ সালের ৪ আগস্ট দলিল করেন
অশোকসের গ্রামের মৃত নরেন্দ্রনাথ হালদারের ছেলে অনিল হালদার। ওই জায়গায় মাটি কেটে পুকুর তৈরি করে বসতঘর, গরু ঘর, রান্নাঘর ও মনসা মন্দির নির্মাণ করে ২৬ বছর ধারে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছে অনিল হালদারের ভাই দরিদ্র সুনীল হালদার। ওই দাগের মধ্য থেকে অন্য শরিক মনোরঞ্জন দেউড়ি ৫ শতাংশ জায়গা অশোকসেন গ্রামের মকবুল ফকিরের কাছে দুই বছর পূর্বে বিক্রি করেন।
ওই ৫ শতাংশ জায়গার বিরুদ্ধে আদালতে টাকা দাখিলের মামলা করেন অনিল হালদারের ছেলে অশীত হালদার। ওই জায়গার দখল নিতে গিয়ে একাধিবার হামলা—সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার বিকেলে ওই জায়গার দখল নিতে মকবুল ফকিরের ছেলে শরীফ ফকির ও সহদর রফিক ফকির লোকজন নিয়ে সুনীল হালদারকে মারধর করে গরুঘরসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।
হামলাকারীরা এসময় মনসা মন্দির ভেঙ্গে পাশের পুকুরে ফেলে দেয়। সুনীল হালদারের মেয়ে সুর্বনা ও স্কুলছাত্রী সুচরিতা হালদার জীবন বাঁচাতে বসত ঘরে আশ্রয় নিলে হামলাকারীরা ঘরের দরজা, জানলা ভেঙ্গে ঘরের ভিতরে ঢুকে উপজেলা সদরের এসএম বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণি ছাত্রী সুচরিতা হালদারকে শরীফ ও রফিক ফকির মারধর করে আহত করে।
হামলাকারীদের হাত থেকে বাঁচার জন্য সুনীল হালদারের বড় মেয়ে সুর্বনা হালদার জরুরি সেবা ৯৯৯ নং এ ফোন দিলে আগৈলঝাড়া থানা পুলিশের এএসআই শহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। এঘটনায় ওই দিন রাতেই (৫জুন) সুনীল হালদার বাদী হয়ে আগৈলঝাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্ত শরীফ ফকির মনসা মন্দির, বসতঘর ভাংচুরের ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, আমি রাস্তা দিয়ে আসার সময় সুণীল হালদার আমাকে গালাগাল করে। যার জন্য আমি তাকে চর থাপ্পড় দিয়েছি। এব্যাপারে আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আলম চাঁদ লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাটি একজন এসআইকে দিয়ে তদন্ত পূর্বক এজাহার হিসেবে গ্রহণ করা হবে।