”ভূগর্ভের পানি করি সাশ্রয়, ভূপৃষ্ঠে নিরাপদ হবে আশ্রয়” এই শ্লোগানে শালিণ্য স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন এর আয়োজনে দিনব্যাপী কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উন্নয়ন সংস্থা অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ ও পার্টিসিপিটরি অ্যাকশন নেটওয়ার্ক এর সহায়তায় কীর্তনখোলা নদীর বুকে গড়ে ওঠা রসূলপুর চরে পানি সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর শিশু-কিশোরদের দেখা পানি সংক্রান্ত সংকটসমূহ তুলে ধরে চিত্রাঙ্কন, পোস্টার লিখন, কুইজ ও ভূগর্ভের পানি ব্যবহার ও মুক্ত জলাশয় দূষণ রোধে সচেতনতামূলক মাইকিং ও সড়কে সচেতনতামূলক প্রচারণা হিসেবে অবস্থান করেছে বরিশালের শালিণ্য স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন ।
বিকেল ৩টায় নগরীর ভাটিখানা রোড নিরন্তর লাইব্রেরিতে পানি দূষণ রোধে আইনের প্রয়োগ, নগর ও গ্রামে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার হার, পানি দূষণে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর জন্য করণীয় , পানি অপচয় ও দূষণ বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ হিসেবে আইন প্রণয়ন বাস্তবায়ন ও জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সামাজিক সংগঠনের কর্মপরিকল্পনা বিষয়ে অংশীজনদের সাথে সংলাপ আয়োজন করা হয়।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের জাতীয় যুব কাউন্সিলের বরিশাল বিভাগীয় প্রতিনিধি ও শালিণ্য সম্পাদক কিশোর চন্দ্র বালা’র সঞ্চালনায় সংলাপে প্যানেলিস্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিসিসি প্যানেল মেয়র ও শালিণ্য সভাপতি কোহিনুর বেগম, প্রফেসর বিমল চক্রবর্তী, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক প্রিন্স বাহউদ্দিন তালুকদার, উন্নয়ন সংগঠন আভাসের নির্বাহী পরিচালক রহিমা সুলতানা কাজল , জাতীয় জয়িতা পুরস্কার বিজয়ী হাসিনা বেগম নীলা, শিক্ষক নেতা জহিরুল ইসলাম জাফর, শ্রমিক নেতা তুষার সেন ,শিশু সংগঠক আবুল খায়ের সবুজ, শিক্ষক বিজন ব্যাপারী, অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের প্রোগ্রাম অফিসার ওবায়েদুল আল ইমন, নারী নেত্রী তানিয়া আফরোজ লিপি, উদ্যোক্তা সংগঠক সুভাষ দাস, বিতার্কিক সংগঠক শেখ সুমন, সাংস্কৃতিক কর্মী ও সাংবাদিক মাহফুজ নুসরাত, রোভার স্কাউট সাজিদ ও ইব্রাহিম মুন্না, শালিণ্য কর্মী উল্লাস মালী, প্রিন্স, জিসান, সানজিদা সহ প্রায় ৭৫জন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে বিভিন্ন যুব সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, পানি সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার শিশু ও নারীরা, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও রোভারস্কাউটবৃন্দ।
আলোচনায় সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা, নদীতে লবণাক্ততার প্রবেশ ও জলজ প্রাণীর জীবননাশের শঙ্কা, চরডুবি, নিচুভূমি ও নদীভাঙ্গনের ঝুঁকি, কৃষি ফসল উৎপাদন ও মাটির উর্বরতা হ্রাস, মানব শরীরে দূষিত পানির প্রভাবে চর্মরোগ ও পানিবাহিত রোগের প্রার্দুভাব বৃদ্ধি, উন্নয়ন অগ্রযাত্রার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় যে সকল দেশের সাথে নদী অববাহিকা রয়েছে তাদের সাথে চুক্তি বাস্তবায়নের আবশ্যকতা, দেশে বিদ্যমান আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও যুগোপযোগী করণের তাগিদ, জলবায়ু পরিবর্তনের আসন্ন সংকট মোকাবেলায় টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-৬, ১৩ এবং বদ্বীপ পরিকল্পনা২১০০ সহ জাতীয়-আর্ন্তজাতিক পানি নীতিমালা বাস্তবায়নে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের সাথে নাগরিকদের সচেতন অংশগ্রহণ, ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহারে সতর্ক করে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ও ওয়াটার ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে রিইউজ তথা মুক্ত জলাশয় পরিষ্কার রেখে কমিউনিটির ব্যবহার উপযোগিতা বাড়ানোর জন্য উৎসাহিত করণের আবশ্যকতা, শিশুমনে পানির অপচয় রোধে সতর্কতার বীজ বপন করা। পয়:নিস্কাশন ও স্বাস্থ্যবিধি বিষয়ে সচেতনবার্তা বিস্তার ও প্রশাসন সহ কমিউনিটি সুপারভিশন নিশ্চিতকরণ অংশগ্রহণকারীরা নিজ নিজ মতামত তুলে ধরেন এবং সকল আলোচনা শেষে বরিশালের খাল উদ্ধারে প্রশাসনের
দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণে নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।