More

    পারিবারিক স্বরযন্ত্রের স্বীকার ব্যবসায়ী আবুল বাসার শামীম

    অবশ্যই পরুন

    ঝালকাঠি বাহের রোডের বাসিন্দা সারমিন আক্তার গত ২৮ এপ্রিল সদর থানায় তার ভাশুর আবুল বাসার শামীম এবং ভাসুরের ছেলে সাইদুল বাশার স্মরণ এর নামে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। এমন একটি সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকের চোখে পড়েছে। ডায়েরিতে উল্লিখিত সকল তথ্য মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবী করেছেন বৈশিষ্ট্য ব্যবসায়ী আবুল বাসার শামীম। মুলত সামাজিক ভাবে মানহানী করার উদ্দেশ্যেই এই জিডি করা হয়েছে বলে জানিয়ে ঐ পরিবারের অন্য সদস্যরা।

    সাধারণ ডায়েরীতে সারমীন লিখেছেন, ‘স্বামী  মনিরুজ্জামান ১২ বছর পূর্বে এবং শশুর মজিদ হওলাদার গত চার বছর পুর্বে মৃত্যু বরণ করেন। তাদের মৃত্যুর পর শ্বশুর মজিদ হাওরাদারের সকল সম্পত্তি দোখাশুনা করতে গিয়ে তার ভাসুর শামীম শ্বশুরের কিছু জমি এবং বাসগাড়ী বিক্রি করে সারমিনকে কোনো টাকার ভাগ দেয়নি। টাকা চাইতে গেলে শামীম এবং স্মরণ তাকে গালমন্দ ও মারধরের চেষ্টা করেছে।’

    এ বিষয়ে আবুল বাসার শামীমের কাছে থাকা তথ্য ও ডকুমেন্ট বিশ্লেষণ করে যা যানা গেছে তাহলো, ‘আব্দুল মজিদ হাওলাদারের মৃত্যুর পর ঝালকাঠি যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালত ও ডেলিগেট জজ আদালতে সাকসেসন মোকদ্দমা (২৮/২০২১) দায়ের করেন আবুল বাশার শামীম গং। এতে প্রতিপক্ষ করা হয় মো. হারুন অর রশিদ গংদের। বিচারিক আদালতের মো. সাইফুল আলম ২০২১ সালে এই সাকসেসন মোকদ্দমার আদেশ দেয়।

    আদালত কর্তৃক ঐ আদেশ অনুযায়ী আবুল বাসার শামীম তার প্রয়াত ছোট ভাই মনিরুজ্জামান মনিরের নাবালিকা কণ্যা অধরা জামান এর নামে পুবালী ব্যাংক ঝালকাঠি শাখায় ২০২২ সালের ১৪ জুন ৪০ লাখ টাকায় একটি ফিক্সড ডিপোজিট করে দেয়। এর পরের দিন ১৫ জুন মনিরুজ্জামানের নাবালক পুত্র অর্ণব জামান অমি’র নামে অনুরূপ ভাবে বেসিক ব্যাংক ঝালকাঠি উপ-শাখায় ৩০ লাখ টাকা এবং পৃথক ৫০ লাখ মোট ৮০ লাখ টাকার আরেকটি ফিক্সড ডিপোজিট করে দেন।

    এদিকে গত ২৮ আগষ্ট বিকাল অনুমান ৪টার দিকে বাহের রোডস্থ বসত ঘরের সামনে ভাশুরের কাছে পাওয়ানা টাকা চাইতে গেলে শামীম এবং স্বরণ কর্তৃক গালিগালাজ ও মারধরের চেষ্টার কথা মনিরুজ্জামানের স্ত্রী সারমিন সাধারন ডায়েরিতে লিখেছেন। তবে শামীমের ভাষ্য, তার দেয়া তথ্য ও ডকুমেন্ট এবং সিসি ক্যামেরার ফুটেজ অনুযায়ী জানাগেছে ঐ সময় আবুল বাসার শামীম তার ছেলে স্বরণ দুজনেই ঢাকায় ছিলো। ঐ দিন শামীম ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে রাত ৯টার দিকে সে বরিশালে পৌঁছায়। তার নিজস্ব গাড়ীর পদ্মা সেতু পার পাড় হওয়ার টোল স্লিপ সগ্রহ করা হয়েছে।

    অভিযোগের বিষয়ে আবুল বাসার শামীম বলেন, ‘আমার প্রয়াত ভাই মনিরুজ্জামানের স্ত্রীর সারমিন আমার প্রয়াত বাবা আব্দুল মজিদ হাওলাদারের ওয়ারিশ নয়। প্রকৃত ওয়ারিশ মনিরের দুই সন্তান। তারা দুজনই অপ্রাপ্ত বয়সী থাকায় তাদের টাকা ব্যাংকে গচ্ছিত আছে। মনিরের দুই সন্তানের পরাশুনা, ভরনপোষনসহ যাবতীয় সকল খরচ ১২ বছর ধরে দাযিত্ব নিয়ে আমি বহন করেছি। সম্প্রতী মনিরের ছেলের বয়স ১৮ পুর্ণ হয়েছে। আমি আগামী মাসে ওমরা হজ্জ পালন করে এসে অর্থসহ সব কিছু বুঝিয়ে দিবো।’

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    বরিশালে আবাসিক হোটেল পপুলার থেকে ১৬ নারী-পুরুষ আটক

    বরিশাল নগরীর পোর্ট রোড এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে ১৬ নারী-পুরুষকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে নগর‌ীর পোর্ট...