আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি তাদের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার কাজ দ্রুত এগিয়ে নিচ্ছে। দলটির পক্ষ থেকে বেশ কিছু আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে এবং তাদের নিজ নিজ এলাকায় কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বরিশাল বিভাগের বেশ কিছু আসনও রয়েছে।
দলীয় সূত্র থেকে জানা যায়, বিএনপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতে ইসলামী তাদের প্রার্থী চূড়ান্ত করে অনেক আগেই মাঠে নেমেছে। অন্যদিকে বিএনপির প্রার্থী বাছাইয়ে প্রতিবারের মতো এবারও কিছুটা জটিলতা তৈরি হয়েছে। বরিশাল বিভাগের ২১টি আসনের জন্য ৭০ জনের বেশি প্রার্থী মনোনয়ন চেয়েছেন, যা কেন্দ্রীয় নেতাদের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
এই পরিস্থিতি সামাল দিতে দল একাধিক জরিপ পরিচালনা করেছে। এসব জরিপের ফলাফল, দলের নীতিনির্ধারক নেতাদের মতামত এবং তৃণমূল পর্যায়ে জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে প্রার্থী তালিকা অনেকটাই চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে একজন কেন্দ্রীয় নেতা দাবি করেছেন।
বিভিন্ন সূত্রমতে, বেশ কিছু আসনে প্রার্থীদের সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন:
বরিশাল-১: জহির উদ্দিন স্বপন
বরিশাল-৩: জয়নুল আবেদীন
বরিশাল-৪: রাজীব আহসান
পটুয়াখালী-৪: এবিএম মোশারফ হোসেন
ভোলা-২: হাফিজ ইব্রাহীম
ভোলা-৩: মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ
ভোলা-৪: নুরুল ইসলাম নয়ন
এই নেতারা ইতিমধ্যেই নিজ নিজ এলাকায় কাজ শুরু করার নির্দেশনা পেয়েছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
গতকাল বরিশাল বিভাগের কিছু আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এজেডএম জাহিদ হোসেনের নেতৃত্বে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল-৫, বরিশাল-২, ঝালকাঠী-২, পটুয়াখালী-১, পটুয়াখালী-৩ ও পটুয়াখালী-৪ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
বৈঠকে বরিশাল-৫ আসনের মজিবর রহমান সরোয়ার, আবু নাছের মো. রহমতুল্লাহ, বিলকিস আক্তার জাহান শিরীনসহ আরও কয়েকজন নেতা অংশ নেন। ঝালকাঠী-২ থেকে মাহবুবুর রহমান নান্নু, ইলেন ভুট্টো ও শাহাদাত হোসেন উপস্থিত ছিলেন। পটুয়াখালী-১, ৩ ও ৪ আসন থেকে যথাক্রমে আলতাফ হোসেন চৌধুরী, শহিদুল আলম তালুকদার, এবিএম মোশাররফ হোসেন ও মনির হোসেন অংশ নেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ বলেন, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, দলের সিদ্ধান্ত সবাইকে মেনে নিতে হবে এবং চূড়ান্ত প্রার্থীর পক্ষে সবাইকে কাজ করতে হবে।