আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধিঃ দীর্ঘদিন প্রবাসজীবন শেষে দেশে ফিরে গরুর খামার গড়ে তুলেন বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বড় বাশাইল গ্রামের শামীম শিকদার। বর্তমানে সফল খামারি হিসেবে পরিচিত পেয়েছে এই উদ্যোক্তা, নিজে যেমন স্বাবলম্বী হয়েছেন, তেমনি সৃষ্টি করেছেন কর্মসংস্থানের সুযোগ। বর্তমানে তার খামারে বিভিন্ন জাতের ছোট—বড় প্রায় ২শত ৫০টি গরু রয়েছে।
সরকারি পৃষ্টপোষকতা পেলে এই খামারের পরিধি আরো বড় করার ইচ্ছে রয়েছে দুবাই প্রবাসী শামীম শিকদারের, এতে করে বেকারত্ব দুর হবে বলে জানান তিনি। অন্যদিকে উপজেলার ন্যাচারাল খাবার খাওয়নোর কারণে গরু ভাল থাকে। জাতীয় প্রাণী সম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষ্যে এই খামারের নাম পুরস্কারের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানান উপজেলা প্রাণী সম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা পলাশ সরকার।
জানা গেছে, বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের বড় বাশাইল গ্রামের বাসিন্দা শামীম শিকদার। জীবিকার তাগিদে ২০০৮ সালে পাড়ি জমান দুবাই শহরে। কিন্তু নিজ গ্রামের মাটির টান বেশিদিন থাকতে দেয়নি বিদেশে। এক বছরের মাথায় দেশে ফিরে আসেন শামীম। দেশে ফিরেই শুরু হয় তার ভাগ্য বদলের গল্প। অল্প কিছুদিনের মধ্যে নিজ বাড়িতে “রাইয়ান ডেইরি অ্যান্ড ফ্যাটেনিং খামার” নামে একটি গরুর খামার তৈরী করেন শামীম।
এতে নিজের ভাগ্য বদলের পাশাপাশি সৃষ্টি হয়েছে এলাকার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের। শখের বসে ২০১২ সালে ২০টি গাভী ও ষাঁড় গরু দিয়ে শুরু করে বর্তমানে তার খামারে রয়েছে ২শত ৫০টি বিভিন্ন জাতের গরু। এখন খামারের সঙ্গে সঙ্গে যোগ হয়েছে পুকুরে মাছ চাষ। সমন্বিত সেই খামার থেকে খরচ বাদে এখন তার মাসে আয় হচ্ছে সাড়ে তিন লক্ষ থেকে চার লক্ষ টাকা। সরকারী পৃষ্টপোষকতা পেলে ব্যাপক আকারে খামার করার ইচ্ছে রয়েছে দুবাই প্রবাসী শামীম শিকদারের।
এতে করে এলাকার বেকার যুবকদেরও কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। এব্যাপারে দুবাই প্রবাসী শামীম শিকদার বলেন, দেশি খাবার ব্যবহার করার কারনে গরুর রোগবালাই কম এবং ফার্মে গরুদের সন্তানের মত লালন—পালন করি। আমার খামারে বর্তমানে ১০ জন লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। ভবিষ্যতে আরো লোকজনের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। এব্যাপারে উপজেলা প্রাণী সম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা পলাশ সরকার বলেন, শামীম শিকদারের খামারে দেশ— বিদেশী আড়াইশত গাভী ও ষাঁড় গরু রয়েছে। গরুর পাশাপাশি দুটি পুকুরেও মাছ চাষ করা হচ্ছে।
গরুর খাবারের জন্য চার একর জমিতে ঘাস চাষ করা হয়েছে। তিনি এই উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় একজন উদ্যোক্তা।