বরিশাল-১ আসনের নির্বাচনী ময়দানে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী মাওলানা মো. কামরুল ইসলাম খানের বড় ছেলে এবং কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা আরাফাত বিল্লাহ খান-এর একটি বক্তব্য।
গত ৭ নভেম্বর গৌরনদীর জনসভায় আরাফাত বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জহির উদ্দিন স্বপনের পক্ষে নির্বাচনী সমর্থন ও ভোট চান— যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায় এবং দুই উপজেলার ভোটারদের মধ্যে নানা প্রতিক্রিয়া তৈরী করে। আরাফাত তার বক্তব্যে বলেন, তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রদল ও যুবদলের সাবেক নেতা হিসেবে জাতীয়তাবাদী আদর্শকে অনুসরণ করবেন এবং স্থানীয় নিরাপত্তার স্বার্থে বিএনপির প্রার্থীকে সমর্থন করার আহ্বান জানান।
তিনি আখেরে বলেন, “আমার জীবনের শেষ পর্যন্ত জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাস করব… আমাদের স্বপন ভাই দুইবারের এমপি, তাই আমরা তাকে বিজয়ী করাবো।” এ ঘটনার পর মাওলানা কামরুল ইসলাম খান রবিবার নিজ ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করে জানিয়ে দেন যে, তিনি তাঁর বড় ছেলেকে শিবিরে যেতে বুঝিয়েছেন, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছেন; তাই বড় ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন।
পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমি একজন ব্যর্থ পিতা। আমার বড় ছেলের সঙ্গে আমি সম্পর্ক ছিন্ন করলাম।’ পরবর্তীতে তিনি পোস্টটি ডিলেট করেন এবং সংবাদে দাবি করেন যে প্রথম পোস্টটি কেন্দ্রের নির্দেশে মুছে ফেলেছেন। তিনি বলেন, “আমার ছেলে যা বলেছে তাতে ভোটে কোনো প্রভাব পড়বে না।”
জামায়াতে ইসলামী প্রার্থী কামরুলের প্রথম পোস্ট ও তার ছেলের বক্তব্য নিয়ে গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া উপজেলার ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন দেখা দিয়েছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এমন পারিবারিক বিভক্তি স্থানীয় ভোটারদের মনে সংশয় সৃষ্টি করতে পারে।
