রাহাত রাব্বি: শিশু থেকে প্রাপ্তবয়স্ক—সবার প্রিয় মিষ্টি আর আইসক্রিমই যখন বিষে পরিণত হয়, তখন সেই বিপদ কত গভীর হতে পারে—ভাবতেই শিউরে ওঠে। বরিশালে এমনই ভয়াবহ সত্য উন্মোচন করেছে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)। বরিশাল নগরীর সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের বিপরীতে মুসলিম পাড়ার অর্পিতা গৌরনদী মিষ্টান্ন ভাণ্ডার কারখানায় মানহীন ও বিষাক্ত রং ব্যবহার করে মিষ্টি তৈরি করায় মালিককে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) এনএসআইয়ের সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসন ও বিএসটিআইয়ের কর্মকর্তারা এই অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে ৭–৮ হাজার পিস আইসক্রিমসহ বেশকিছু নিম্নমানের মিষ্টি ধ্বংস করা হয়। একইদিন নগরীর ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মারুফ সুপার স্পেশাল কারখানায় অনুমোদনহীন ও ক্ষতিকর রং মেশানো আইসক্রিম উৎপাদনের কারণে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এনএসআই বৃহস্পতিবার জানায়—ভেজাল খাদ্যের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে সংস্থাটির সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে কারখানাগুলোয় গোপনে নজরদারি চালান, এমনকি ক্রেতার ছদ্মবেশে পণ্য কিনে পরীক্ষাও করেন। যাচাই–বাছাই শেষে যখন খাবারের নিম্নমান ও কাপড়ের রং ব্যবহারের বিষয়টি নিশ্চিত হয়, তখন জেলা প্রশাসন এবং বিএসটিআইকে নিয়ে অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযান পরিচালনা ও জরিমানা আদায়ের সময় উপস্থিত ছিলেন বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ শাফিনুর রহমান আকন্দ।
যে খাবার আমাদের বাচ্চাদের মুখে যাওয়ার কথা, সেটাই যখন বিষে রঙিন হয়—তখন এমন অভিযান শুধু জরিমানা নয়, আমাদের সবার জন্য একটি সতর্কবার্তা। খাদ্যে ভেজালের বিরুদ্ধে লড়াই আরও জোরদার হওয়া এখন সময়ের দাবি।
