স্টাফ রিপোর্টারঃ বরিশালের বানারীপাড়া পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড নিবাসী বানারীপাড়া বন্দর বাজারের বিশিষ্ট স্বর্ন ব্যবসায়ী বিমল কর্মকার এর সহধর্মিণী প্রয়াত মুকুল রাণী কর্মকারের শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান আজ। এ উপলক্ষে তার আত্মার চিরশান্তি কামনায় তাদের পৈতৃক নিবাস এর সম্মুখে রামায়ণ পাঠ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
পূর্বপুরুষের(মৃত পিতামাতার) আত্মার শান্তি ও সদগতি কামনায় শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান করা হয়। এটি একটি ধর্মীয় ও সামাজিক প্রথা, যেখানে দান, ধ্যান, তর্পন ও অতিথিভোজন করা হয়।
১২ ডিসেম্বর শুক্রবার হাসপাতাল সংলগ্ন বনিক বাড়িতে বাংলাদেশের প্রখ্যাত রামায়ণ দল “শ্রীগুরু সম্প্রদায়” এর হৃদয়স্পর্শী ও আবেগপূর্ণ পরিবেশনায় উপস্থিত ভক্তবৃন্দদের মনকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। গভীর মনোনিবেশে শ্রবণ করায় অনেকের চোখ থেকে অশ্রু ঝরতে দেখা যায়। প্রয়াত মুকুল রাণী কর্মকারের আত্মীয় স্বজন ও ভক্তদের পদচারণায় মুখর সব মিলিয়ে উৎসব অঙ্গনটি আধ্যাত্মিক ও মিলনমেলায় পরিনত হয়।
মৃত্যুবার্ষিকীতে রামায়ণ পাঠ একটি প্রচলিত প্রথা, যা প্রয়াতের আত্মার শান্তি কামনায়, ধর্মীয় রীতিনীতি পালনে এবং পারিবারিক ঐতিহ্য ধরে রাখতে করা হয়। এটি শোকাহত পরিবারকে সান্ত্বনা দেয়, রামায়ণের নীতি ও আদর্শের (যেমন – ভক্তি, ধর্ম, কর্তব্য) স্মরণ করায় এবং একটি আধ্যাত্মিক পরিবেশ তৈরি করে। যেখানে পরিবারের সদস্যরা একত্রিত হয়ে প্রয়াতকে শ্রদ্ধা জানায় ও জীবনের চড়াই-উতরাই নিয়ে আলোচনা করে, যেমন রাম-সীতার বনবাসের ঘটনার সঙ্গে জীবনের দুঃখ-কষ্টের তুলনা করা যায়।
মুকুল রাণী কর্মকার ব্যাক্তি জীবনে সদ, নিষ্ঠাবান এবং অত্যন্ত বিনয়ী স্বভাবের মানুষ ছিলেন। তিনি ৩১শে ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শনিবার পৃথিবীর মায়া মমতা ত্যাগ করে চিরদিনের জন্য না ফেরার দেশে চলে যান। পাঁচ ছেলে ও ছয় মেয়ে সহ ১১ জন সন্তানের জননী তিনি। উল্লেখ্য তিনি বানারীপাড়া বন্দর বাজার ব্যাবসায়ী সমীর কর্মকার ও সজল কর্মকারের মমতাময়ী মা।
