বরিশালের আগৈলঝাড়ায় পর্নোগ্রাফী আইনের মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই মামলায় আসামী করা হয়েছে আওয়ামীলীগ নেতা কাজী শাহাদাৎকে। আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাজহারুল ইসলাম জানান, গৌরনদী উপজেলার বার্থী গ্রামে বিয়ে দেয়া মেয়ে (১৯) কয়েকদিন আগে আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের ভালুকশী গ্রামে পিতার বাড়িতে বেড়াতে আসে। সোমবার (৩ জুলাই) দুপুরে ওই গৃহবধূ বাড়ির পুকুরে গোসল করতে যায়। এসময় একই বাড়ির কাজী আজাদের ছেলে গৃহবধূর চাচাতো ভাই কাজী ফিরোজ গোপনে ওই গৃহবধূর গোসল করা ও কাপড়চোপর পাল্টানোর নগ্ন ভিডিও দৃশ্য তার নিজের ফোনে ধারন করেন।
সোমবার রাতেই বখাটে ফিরোজ গোসলের ভিডিও ওই গৃহবধূর ম্যাসেঞ্জারে পাঠিয়ে তাকে রাতে ফিরোজের সাথে দেখা করতে বলেন। গৃহবধূ ফিরোজের কথায় রাজি না হলে তাকে দুই লক্ষ টাকা দিতে হবে বলে জানান ফিরোজ। দাবীকৃত টাকা না দিলে তার অশ্লীল ভিডিও ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেন ফিরোজ। বিষয়টি ওই গৃহবধূ তার স্বামী ও পিতার পরিবারের লোকজনের কাছে খুলে বলেন। গৃহবধূর পরিবারের লোকজন
ঘটনায় অভিযুক্ত ফিরোজের পরিবারের কাছে জানালে কাজী শাহাদাৎ ও কাজী তুষার অভিযোগ আমলে না নিয়ে বরং তারা ফিরোজের ধারন করা ভিডিওটি গোপন করার চেষ্টা করেন। স্থানীয়ভাবে বিচার না পেয়ে ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে ফিরোজকে প্রধান আসামী এবং তাকে সহায়তা করার জন্য ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি কাজী শাহাদাৎ ও কাজী তুষারকে আসামী করে মঙ্গলবার রাতে ২০১২ সালের পর্নোগ্রাফি আইনে থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার প্রধান আসামী কাজী ফিরোজকে নিজ এলাকা থেকে মঙ্গলবার রাতে এসআই আলী হোসেন গ্রেপ্তার করেন। আসামী কাজী ফিরোজকে বরিশাল আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।