নেছারাবাদ প্রতিনিধি: পিরোজপুর-২ (ভান্ডারিয়া, কাউখালি, নেছারাবাদ) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আহম্মেদ সোহেল মঞ্জুর সুমনের প্রচারণায় দেখা গেছে বিএনপির ক্যাম্প পোড়ানো মামলার আসামী ও বালু ব্যবসায়ী মাহমুদ কবিরকে। প্রার্থীর প্রচারণায় এমন বিতর্কিত ব্যক্তির উপস্থিতি নিয়ে স্থানীয় বিএনপি মহলে তীব্র সমালোচনা চলছে।

তবে এ বিষয়ে স্বরূপকাঠি পৌর বিএনপির সভাপতি কাজী কামাল হোসেন বলেছেন, “ওই ব্যক্তি ছারছীনা দরবারের বাংলাদেশ জমিয়াতে হিযবুল্লাহর নেছারাবাদ শাখার সাধারণ সম্পাদক। ঘটনাক্রমে তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগ করেন না বিএনপি করেন, সেটা আমাদের বিষয় নয়।”
জানা গেছে, গত সোমবার বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে আহম্মেদ সোহেল মঞ্জুর সুমনের নাম ঘোষণা করা হয়। পরদিন মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) তিনি নেছারাবাদের ছারছীনা দরবারে মাজার জিয়ারতে যান। ওই সময় তোলা ছবিতে দেখা যায়, প্রার্থীর ডান পাশে বসা মাহমুদ কবির ও বাম পাশে পৌর বিএনপির সভাপতি কাজী কামাল হোসেন।

স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। কেউ একে “রাজনৈতিক কৌশল” বললেও, অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, দলীয় প্রার্থীর প্রচারণায় এমন বিতর্কিত ব্যক্তির উপস্থিতি কতটা গ্রহণযোগ্য?
নেছারাবাদ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. ফকরুল আলম বলেন, “শুনেছি আওয়ামী লীগের ওই লোক তাদের সাথে দরবারে গিয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে আমি মন্তব্য করতে চাই না, প্রার্থীই বলতে পারবেন কেন তিনি ছিলেন।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাহমুদ কবির স্থানীয় আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ২০২৩ সালে আওয়ামীলীগ আমলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্রও সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। এছাড়া ২০১৯ সালে বলদিয়া ইউনিয়নে বিএনপির ক্যাম্প পোড়ানোর মামলায় তার নাম আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়। পরে মামলার বাদী মাসুম তালুকদার হলফনামার মাধ্যমে তার নাম মামলা থেকে বাদ দেন।
বিএনপি প্রার্থী আহম্মেদ সোহেল মঞ্জুর সুমন বলেন, “আমি ওই ব্যক্তিকে চিনিনা। দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মাজার জিয়ারত ও দরবারের পীর সাহেবের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছি। মাহমুদ কবির আমাদের সঙ্গে যায়নি, তিনি তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন মাত্র।”
