মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় অটোচালক হৃদয় পহলান (১৭) হত্যা মামলার মূল আসামি রাজুকে রাজধানী ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৩। এসময় তার কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন এবং নিহত হৃদয়ের একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। র্যাব-৮, বরিশালের সিনিয়র সহকারী পরিচালক অমিত হাসান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার উত্তর মিঠাখালী এলাকা থেকে হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতাকারী আরেক আসামি রিয়াদ হাওলাদারকে গ্রেফতার করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিহত হৃদয় পহলান ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। গত ২১ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি ইজিবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে তিনি সর্বশেষ মোবাইল ফোনে তার বাবাকে জানান যে, তিনি মঠবাড়িয়া স্ট্যান্ডে আছেন। এরপর থেকেই তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায় এবং সেদিন রাতে আর তিনি বাড়ি ফেরেননি।
অনেক খোঁজাখুঁজির পরও কোনো সন্ধান না পেয়ে পরদিন হৃদয়ের বাবা আলমগীর হোসেন মঠবাড়িয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ২২ অক্টোবর অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি ফোন করে ৪২ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। কিছু সময় পর স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পান- মঠবাড়িয়া পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বহেরাতলা-আলগী পাতাকাটা সড়কের পাশে খালের পাশে বিছানার চাদরে মোড়ানো ও প্লাস্টিকের বস্তাবন্দি অবস্থায় একটি লাশ পাওয়া গেছে।
পরিবার সেখানে গিয়ে লাশটি হৃদয় পহলানের বলে শনাক্ত করে। সুরতহাল রিপোর্টে দেখা যায়, তার গলা কাটা এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনার পর নিহতের বাবা আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে মঠবাড়িয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। র্যাবের তদন্তে দেখা যায়, মঠবাড়িয়ার হারজি নলবুনিয়া গ্রামের রিয়াদ হাওলাদার হত্যাকাণ্ডে সরাসরি সম্পৃক্ত। তাকে গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মূল হত্যাকারী রাজুর নাম উঠে আসে।
পরবর্তীতে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে রাজুকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব-৩। মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে র্যাব-৩ আসামির অবস্থান নিশ্চিত করে তাকে গ্রেফতার করেছেন৷ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
