এমবিবিএস পাস না করেও সব বিষয়ে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ডাক্তার। দেখেন নিয়মিত রোগীও। চেম্বার করেন সপ্তাহে দু যায়গায়। প্রেসক্রিপশনে নিজের নামের শুরুতেই রয়েছে ডাক্তার লেখা, আবার বিভিন্ন রোগের নাম লেখা শেষে রয়েছে অভিজ্ঞ লেখা। সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি নিজের ডাক্তার লেখা ও অভিজ্ঞ লেখার কথা ভুল স্বীকার করেন।
বরগুনার আমতলী উপজেলার মহিষকাটা কলেজ রোড সংলগ্ন একটি চেম্বারে প্রতি শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ও মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত নিয়মিত রোগী দেখেন ডাক্তার মো. বাদল মিয়া (ডিএমইউএস)ডিপ্লোমা ইন-মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি সিপি ঢাকা। এ ছাড়া তার এলাকা গুলিশাখালীর হরিদ্রাবাড়িয়াতে নিয়মিত রোগী দেখেন।
তার প্রেসক্রিপশনে লেখা রয়েছে মেডিসিন, চর্ম-যৌন, নাক, কান, গলা,বাত-ব্যথা, মা ও শিশু রোগের অভিজ্ঞ ডাক্তার। গ্রাম অঞ্চলের সাধারণ মানুষের সচেতনতার অভাবকে পুঁজি করে ও চিকিৎসা সংকট থাকায় তারা বছরের পর বছর রোগী দেখে যাচ্ছেন। রোগমুক্তি তো দূরের কথা এসকল চিকিৎসকের ওষুধ খেয়ে সাধারণ মানুষ নানান জটিলতায় ভুগছেন শতশত রোগী।
মাঝে মধ্যে শোনা যায় ভুল চিকিৎসার জন্য মানুষের মৃত্যুও হয় অপচিকিৎসার জন্য। প্রায় গত দুই বছর ধরে কথিত অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ডাক্তার চেম্বার খুলে সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে উপজেলার মহিষকাটা কলেজ রোড মা মেডিকেল নামের একটি ফার্মেসিতে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. চিন্ময় কুমার হালদার বলেন, এমবিবিএস ডাক্তার ছাড়া কারো ডাক্তার লেখার কোনও সুযোগ নাই। যদি এ রকম হয়ে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয় আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রোকনুজ্জামান খান মুঠোফোনে বলেন, ডাক্তার ও প্রেসক্রিপশন বিধি বহির্ভূত লেখার সুযোগ নাই। যারা আইন ভঙ্গ করে এসব কাজ করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।